সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। আরও দুই দিন তা অব্যাহত থাকার পর কমতে পারে তিন দিনে। এক পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। তা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। রাতের ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল সকালে ৬৭ শতাংশ এবং সন্ধ্যায় ৫৬ শতাংশ।
সিলেটের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, গতকাল শনিবার ছিল সিলেটে চলতি বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ রবিবার সিলেটের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে। এরপর থেকে আস্তে আস্তে বাড়বে তাপমাত্রা।
তিনি জানান, আগামী মাসের প্রথম দু'দিন সিলেটে হালকা বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তীতে ৫, ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হবে এই অঞ্চলে। ওই সময়ের মধ্যে দিনে-রাতের তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের তীব্রতা কমবে না।
সাঈদ আহমদ চৌধুরী আরও জানান, ২০১১-১২ সাল পর্যন্ত ডিসেম্বরে শীতের তীব্রতা থাকতো সবচেয়ে বেশি। জানুয়ারিতে এসে কমে যেতো শীতের তীব্রতা। কিন্তু, জলবায়ুর পরিবর্তনে গত এক দশকে শীতের তীব্রতা ঠাঁই নিয়েছে জানুয়ারিতে।
তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামীতে ফেব্রুয়ারিতেও শীত অনুভূত হবে।
এদিকে, শীতের এই আবহে নগরজীবন কিছুটা স্থবির। বিপাকে পড়েছেন নগরীর ভবঘুরে ও পথশিশুসহ নিম্ন আয়ের লোকজন। তবুও থেমে নেই জনজীবন। জীবিকার তাগিদে ছুটে চলছেন সবাই।
অপরদিকে, শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছেন মানুষজন। বিশেষ করে কৃষককুল পড়েছেন বিপদে। কুয়াশা আর শীতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদও।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত