সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের শ্লীলতাহানি ও মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আদালতে আরও দুই আসামি আত্মসমর্পণ করেছে। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন মামলার আসামি সাজন ও মামুন। এ সময় তাদের পক্ষে আইনজীবী জামিনের আবেদন জানালে বিচারক নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ নিয়ে হামলা ও শ্লীলতাহানির দুই মামলায় গ্রেফতার ও আত্মসমর্পণকারী আসামির সংখ্যা দাঁড়ালো ৭। এর মধ্যে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া দিব্য সরকার, সাঈদ হাসান রাব্বি ও এহসান আহমদের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মোহাম্মদ আবদুল্লাহ নামের এক আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
এ সময় তার আইনজীবী আবদুল্লাহ অপ্রাপ্ত বয়স্ক দাবি করলে আদালত ২৫ আগস্ট পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। এই সময়ের মধ্যে বয়সের প্রমাণপত্র আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া ছামি নামের এক আসামি উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিন নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সাজন ও মামুন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই দুপুরে এক রোগীর দুই স্বজনের সাথে ইন্টার্ন চিকিৎসক ইমন আহমদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই দুই স্বজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসা হয়। এর জের ধরে পরদিন সোমবার রাত ৮টার দিকে ইন্টার্ন চিকিৎসক ইমন আহমদ ও ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্র রুদ্র নাথের উপর হামলা চালায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে ধর্মঘটের ডাক দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তাদের সাথে যুক্ত হন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ও নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের শ্লীলতাহানির অভিযোগে ৭ জনকে আসামি করে ২ আগস্ট দুপুরে কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর