নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়নের মনপীরিত গ্রামে চম্পা খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বোরখা পরে পালানোর সময় স্থানীয়রা নিহতের স্বামী ও শ্বশুরকে ধরে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এছাড়া নিহতের শাশুড়িকেও আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন-নিহতের শ্বশুর মনপীরিত গ্রামের আব্দুর রহিম মাল (৫৫), শাশুড়ি সনেকা বেগম (৫০) ও স্বামী জাহাঙ্গীর আলম (৩৪)।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনেরা জানান, সম্প্রতি জাহাঙ্গীর ও তার বাড়ির লোকজন ৫০ হাজার টাকা যৌতুক এনে দেয়ার জন্য চম্পাকে চাপ দেয়। কিন্তু চম্পা তাতে রাজি না হওয়ায় শনিবার রাতে জাহাঙ্গীর তাকে বেদম মারপিট করে। রবিবার ভোরে চম্পার শাশুড়ির চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে একটি আমগাছে হেলান দেয়া চম্পার মৃতদেহ দেখতে পায়। এ সময় তার দুই পা মাটিতে ঠেকানো এবং গলায় দড়ি বাঁধা ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
সরেজমিন নিহতের পিঠে, গলায় ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ২০০২ সালে মনপীরিত গ্রামের জাহাঙ্গীরের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মশিন্দা গ্রামের চাঁদ মোহাম্মদের মেয়ে চম্পার বিয়ে হয়। পারিবারিক অশান্তির জের ধরে ২০০৯ সালে জাহাঙ্গীর চম্পাকে তালাক দেয় এবং ২০১৪ সালে পূণরায় চম্পাকে বিয়ে করে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে নিহতের একমাত্র মেয়ে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া মীম বলে-''মাকে রাতে অনেক মারপিট করিছে। মা খুব কাঁনতেছিলো। এক সময় মাক মারলেও মা আর কাঁদেনি।''
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আতাউর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) এমরান হোসেন বলেন, আটককৃতদের কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/০১ নভেম্বর ২০১৫/এস আহমেদ