গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতা রক্ষা ও জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার সংগ্রামকে বেগবান করতে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। কিন্তু সরকারদলীয় ক্যাডার ও প্রশাসনিক হয়রানির কারণে চট্টগ্রামে বিএনপির প্রার্থী-সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারণা ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। আচরণ বিধি ভাঙলেও নির্বাচন কমিশন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির জেলা মনিটরিং সেল’র আহ্বায়ক মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন এ দাবি জানান। তিনি বলেন, সরকার দলীয় প্রার্থী-সমর্থকরা হামলা ও ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। একাধিক ঘটনায় কমিশনকে অভিযোগ দেওয়া হলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে মীর নাছির বলেন, ২০০৮ সালে সাংবিধানিক ধারা ফিরিয়ে আনতে নির্বাচনে গিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু ৫ জানুয়ারির তথাকথিত নির্বাচনের পর দেশে আবারও সাংবিধানিক সংকট দেখা দিয়েছে। জনপ্রতিনিধির সংকট তৈরি হয়েছে। তাই জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তিনি বলেন, সীতাকুণ্ডে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদের প্রশাসক আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা, বারৈয়ারহাট পৌরসভার মেয়র প্রার্থীর লিফলেট-ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়া, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়কের ওপর হামলা এবং সর্বশেষ রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপির প্রার্থীর প্রচরণায় হামলার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কমিশন এখন সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহজাহান জুয়েল, নগর যুবদলের সভাপতি কাজী বেলাল, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন দীপ্তি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা