রাজশাহী নগরীতে ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখা। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার গভীর রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে রবিবার বিকেলে মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এসময় আটককৃতদের গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে হাজির করা হয়।
আটককৃতরা হলেন: নগরীর হেতেমখাঁ এলাকার নাজমুল ইসলাম (২৪), কাদিরগঞ্জ এলাকার এলিম হোসেন (২৪), নতুন বিলসিমলা এলাকার সূর্য্য (২৭), কাদিরগঞ্জের বিপুল (৩২) ও দড়িখরবোনার রাহাত আল ইসলাম (২৫)।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার সুশান্ত চন্দ্র রায় জানান, ৯ ডিসেম্বর রাতে যশোরের বিসিএমসি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আল মামুন সরকার রেলওয়ে স্টেশন থেকে রিকশাযোগে নগরীর বিনোদপুরে তার বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে তালাইমারী নর্দান ইউনিভার্সিটি এলাকায় পৌঁছালে ছিনতাইকারীরা তার গলায় ছুরি ধরে ১০ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, শিক্ষার সনদপত্র কেড়ে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য ১২ ডিসেম্বর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে স্থানান্তর করা হয়। দায়িত্ব পেয়ে ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে কাজ শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশ। তদন্তের এক পর্যায়ে প্রথমে নগরীর নতুন বিলসিমলার সূর্য্য নামের এক যুবককে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাদিরগঞ্জের এলিমকেও আটক করে পুলিশ। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধারসহ হেতেমখাঁ এলাকার নাজমুলকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত কাদিরগঞ্জের বিপুল ও দড়িখরবোনার রাহাত আল ইসলামকে আটক করা
বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা