বরিশালে পুলিশের টহল পিকাপ সাইড দিতে দেরি হওয়ার কথিত অপরাধে অভ্যন্তরীণ রুটের এক বাস চালক হুমাউন কবিরকে বেদম মারধর করে থানায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বরিশাল মেট্রোপলিটনের বিমানবন্দর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সন্ধ্যার আগে নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনালে প্রকাশ্যে ওই চালককে পিটিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ায় অন্যান্য শ্রমিকদের মাঝে এখন অসন্তোষ বিরাজ করছে।
শ্রমিকরা জানান, অভ্যন্তরীণ রুটের নূর পরিবহন নামের একটি বাস (নম্বর বাকেরগঞ্জ ব-১৫) নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের দিকে যাচ্ছিলো। বাসটি বিকেল ৫টার দিকে কাশীপুর চৌমাথা অতিক্রমকালে পেছনে থাকা বিমানবন্দর থানার একটি টহল পিকাপ সাইড চায়। সাইড দিতে দেরী হওয়ার অপরাধে বাসটি নথুল্লাবাদ টার্মিনালে পৌঁছামাত্র বিমানবন্দর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ওই বাসের চালক হুমাউন কবিরকে নামিয়ে প্রকাশ্যে বেদম মারধর করে। এক পর্যায়ে তাকে থানায় নিয়ে যায় এসআই মোস্তাফিজ। এতে শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র্র অসন্তোষের সৃস্টি হয় এবং অভ্যন্তরীণ রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে বাস মালিক সমিতি এবং থানার ওসির আহ্বানে সমঝোতার প্রস্তাব দেয়া হলে প্রায় ১৫ মিনিট পর ফের বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বরিশাল সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান, বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক খুবই ব্যস্ত একটি রাস্তা। এই রাস্তায় চাইলেই সাইড দেয়া যায় না। বিপরীতমুখী যানবাহন দেখে সুযোগ বুঝে চালকেরা সাইড দিয়ে থাকেন। সাইড দিতে দেরী হওয়ার অপরাধে একজন ড্রাইভারকে প্রকাশ্যে মারধরের পর আটক করে পুলিশ ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তবে বিমান বন্দর থানার ওসি রেজাউল ইসলাম বলেছেন উল্টো কথা। তিনি বলেন, বেপরোয়া গতিতে বাস চালানোর অভিযোগে ড্রাইভার হুমাউন কবিরকে আটক করা হয়েছিল। বাস মালিক সমিতি এবং শ্রমিক ইউনিয়নের অনুরোধে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব