নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) নিজেই ট্রান্সপারেন্ট না। তাদের কাজের মধ্যেই অনেক অস্বচ্ছতা আছে। তাই, তারা কি বলল, না বলল, তা নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই।
বুধবার সচিবালয়ে সাত মন্ত্রণালয়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে টিআইবির প্রতিবেদন নিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে, বার্লিনভিত্তিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) টিআই দুর্নীতির ধারণা সূচক ২০১৫ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বিশ্বের দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেম ১৩তম স্থানে আছে বলে জানানো হয়।
বুধবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বৈঠকের বিষয়ে নৌমন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দূষণমুক্ত করতে শিগগির ফিজিবিলিটি স্টাডিজ শুরু করবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এই প্রকল্প পুরোপুরি চালু হতে আরও চার পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে।
তিনি বলেন, নদীদূষণ নিয়ে সরকার খুবই উদ্বিগ্ন। এ ব্যাপারে আজকের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমরা যেকোনো মূল্যে ঢাকার চারটি নদী উদ্ধার ও দূষণমুক্ত করবো। এ ব্যাপারে সরকার কঠোর হবে।
মন্ত্রী জানান, নদী দূষণের ৬০ ভাগ হয় শিল্পবর্জে্যর কারণে। এর অন্যতম কারণ ট্যানারি। এজন্য ট্যানারি শিল্প ঢাকার বাইরে নেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। আজকের বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে, রাজধানী থেকে ট্যানারি শিল্প সরাতে মন্ত্রণালয় যেন আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। নির্দিষ্ট সময়ে ট্যানারি না সরালে কারখানা বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারিও দেয়া হয় বৈঠক থেকে।
বৈঠকে নৌমন্ত্রী ছাড়াও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক এবং দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব