ঢাকার আশুলিয়া থানায় গত বছরের করা প্যান্ট চুরির মামলায় সন্দেহ করে সাংবাদিক নাজমুলকে ৫ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। এ ছাড়া আশুলিয়া থানার পুরাতন আরো পৃথক তিন মামলায় আরো ২১ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। পরে এই চার মামলার রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী ১১ ও ১৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর মধ্যে প্যান্ট চুরির মামলায় রিমান্ড শুনানির জন্য নিয়মানুযায়ী আজ তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু সাংবাদিক নাজমুল গুরুতর অসুস্থ থাকার কারণে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফাইরুজ তাসনীম আগামী ১৬ জানুয়ারি সুস্থতা সাপেক্ষে রিমান্ড শুনানির জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে আশুলিয়া থানা পুলিশ সন্দেহ করে গত বছরের পুরাতন এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। যদিও আশুলিয়া থানার ২৫(১২)১৬ নম্বর মামলার বাদি মো. ইব্রাহীম আহমেদ এজাহারে সাংবাদিক নাজমুলের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেন নাই। তবুও আশুলিয়া থানা পুলিশের সন্দেহ, সাংবাদিক নাজমুল এই মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তাই মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এ ছাড়া আশুলিয়া থানার পুরাতন আরো পৃথক তিন মামলায় আসামি হিসাবে সাংবাদিক নাজমুল হুদাকে ২১ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। ওই রিমান্ড আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ১১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর মধ্যে গতবছরের দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুটি পুরাতন মামলায় আশুলিয়া থানার পরিদর্শক মো. জাহিদুল ইসলাম সাতদিন করে মোট ১৪ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন আদালতের কাছে। এছাড়া গত বছরের দায়ের করা পেনাল কোডের একটি পুরাতন মামলায় আশুলিয়া থানার পরিদর্শক মো. সহিদুল ইসলাম সাতদিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। পরে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত এই তিন মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসাবে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়ে মোট ২১ দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী ১১ জানুয়ারী দিন ধার্য করেন।
আশুলিয়া থানার মামলা নম্বর-৩২(১২)১৬, ৩৫(১২)১৬, ৩৬(১২)১৬। এ তিন মামলার বাদিরা কেউ এজাহারে সাংবাদিক নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেন নাই। তবে আশুলিয়া থানা পুলিশের সন্দেহ সাংবাদিক নাজমুল হুদা এই তিন মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তাই মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে সাংবাদিক নাজমুলকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এর আগে পুলিশ বাদি হয়ে আশুলিয়া থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন একটি মামলা করে। ওই মামলায় দুই দফা রিমান্ড শেষে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি নাজমুল হুদা বর্তমানে কারাগারে আছেন। আশুলিয়া থানার মামলা নম্বর-৩৪(১২)১৬।
এ মামলার শুনানীতে আইনজীবীরা আদালতকে বলেছিলেন, এই মামলার অভিযোগের বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা যে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করেছে, সেই সংবাদের কারণে শ্রমিক আন্দোলনে উসকানি বা সরকার বিরোধী উসকানি দেওয়া হয়নি। যা ঘটনা শুধু সেটুকুই প্রচার করা হয়েছে। সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুযায়ী ওই সংবাদে পুলিশ, বিজিএমইএ নোতাসহ নানা তরফের বক্তব্য যুক্ত রয়েছে। আসলে পূর্বের শত্রুতার কারণে অসাধু ব্যক্তিদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য শ্রমিক উসকানির অছিলা দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে।