বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের সময় হয়েছে। একটি নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন কীভাবে গঠন করা যেতে পারে, সে ব্যাপারে খালেদা জিয়া সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমাদের সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান করেছেন। আমাদেরকে প্রথম ডেকেছেন, সেই জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। শেষ পযর্ন্ত তিনি (রাষ্ট্রপতি) কী করবেন, তার উপর নির্ভর করবে নির্বাচন কমিশনের ভবিষ্যৎ-বলেন বিএনপির মহাসচিব।
বুধবার বিকেলে সেগুনবাগিচায় কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা মিলনায়তনে আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ফখরুল বলেন, আমরা মনে করি, যদি একটি নিরপেক্ষ শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন হয়। তাহলে ভবিষ্যতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার সুযোগ রয়েছে। আর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার নির্বাচিত করার উপর।
ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, একটি দল তথাকথিত উন্নয়নের নামে লুটপাট চালাবে; উন্নয়নের কথা বলে গণতন্ত্রকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেবে- এটা এ দেশের মানুষ মেনে নেবে না।
সারা দেশ চলমান ‘উন্নয়ন মেলা’র বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৬৮ সালে আইয়ুব খান উন্নয়নের ১০ বছর পালন করেছিল। আর ১৯৬৯ সালে তাকে পত্রপাঠ বিদায় নিতে হয়েছিল। আজকে যারা গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে তাদেরকেও বিদায় নিতে হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কবি আবদুল হাই সিকদার, জাসাসের সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক মনির খান, পেশাজীবী নেতা প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু প্রমুখ।