বিশ্ব ইজতেমার উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। সুষ্ঠুভাবে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে বিপুল সংখ্যক র্যাব, পুলিশ এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বোম ডিস্পোজাল এবং ডগ স্কোয়াড ইউনিট মোতায়েনের পাশাপাশি ইজতেমা মাঠে এবং মাঠের কয়েকটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, ৯টি ওয়াচ টাওয়ার এবং বিপুল সংখ্যক সিসি টিভি স্থাপন করা হয়েছে।
যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশ এবং র্যাবের একাধিক টীমকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তুরাগ নদীতে র্যাবের দুটি স্পিড বোট টহল দেবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হেলিকপ্টার ইজতেমা মাঠের আকাশে টহল দেবে।
বিদেশিদের জন্য নির্ধারিত স্থানে স্থল ও নদী পথে যে কোন ধরনের অবৈধ প্রবেশ বন্ধে এবং ছিনতাই, পকেটমার ও অজ্ঞান পার্টির মতো অপরাধ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ইজতেমা মাঠে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিগত বছরের মত তাবলীগ জামায়াতের বিশ্ব ইজতেমায় র্যাব ইজতেমা মাঠকে ২টি সেক্টরে ভাগ করে জল, স্থল ও আকাশ পথে ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমার বিশাল জনসমাগমে যে কোন বিশৃংখলা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড রোধে অন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাবও বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইজতেমা ময়দানে ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তার দায়িত্বে প্রয়োজনীয় সংখ্যক র্যাব সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
এছাড়া ইজতেমা মাঠ ও তৎসংলগ্ন এলাকাতে ২টি সেক্টরে নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সার্বিক নিরাপত্তা ও নজরদারির সুবিধার জন্য সমগ্র ইজতেমা মাঠ ঘিরে থাকবে র্যাবের ৯টি অবজারভেশন পোস্ট, থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক মোবাইল টহল। রাত্রিকালীন অবজারভেশন পোস্টগুলোতে নাইট ভিশন বাইনোকুলার ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, ঢাকার তুরাগ নদীর তীরে আগামী ১৩ থেকে ১৫ এবং ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত দু’দফায় এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।