২০১৩ সালে ৫৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে খানজাহান আলী বিমান বন্দর নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও এর অবকাঠামো নির্মান কাজ শুরু হয়নি। একইভাবে ২০১০ সালে খুলনায় পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহের কথা ছিল। আড়ংঘাটা পর্যন্ত গ্যাস ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপন ও পাইপ আনা হয়। কিন্তু ওই পাইপ এখন অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
খুলনায় বিমানবন্দর নির্মাণ ও গ্যাস প্রকল্পের স্থবিরতায় এভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির নেতারা।
সোমবার দুপুরে দ্রুত এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানকালে নাগরিক নেতারা এসব কথা বলেন। খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এসময় দাবি আদায়ে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছেন নেতারা।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, বিমানবন্দর নির্মাণ ও গ্যাস প্রকল্প বর্তমানে স্থবির হয়ে পড়েছে। গ্যাস সরবরাহের জন্য আনা পাইপ অন্যত্র সরানো হলে অদূর ভবিষ্যতে খুলনায় গ্যাস সরবরাহের সম্ভাবনা থাকবে না।
নাগরিক নেতারা বলেন, ২০১১ সালের ৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালিশপুরের জনসভায় খুলনায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পটিতে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি।
খুলনার পরিকল্পিত উন্নয়নের স্বার্থে অবিলম্বে জিয়া হল পুনঃনির্মাণ, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে এক হাজার বেডে উন্নীতকরণ ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা, রেল স্টেশন থেকে পাওয়ার হাউজ মোড়, ময়লাপোতা-জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ছয় লেনকরণ, খুলনা টেক্সটাইল পল্লী, খুলনা মেরিন একাডেমী, খুলনা ক্যাডেট কলেজ, বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানা নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক নেতারা।
স্মারকলিপি প্রধানকালে সংগঠনের সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট মঞ্জুর উল আলম, এসএম দাউদ আলী, নিজামউর রহমান লালু, শাহীন জামান পন উপস্থিত ছিলেন।
বিডিপ্রতিদিন/ ০৮ জানুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান