রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আগামী ২৭ ডিসেম্বর। নির্বাচনকে ঘিরে মেয়র, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীক সংবলিত পোস্টারে নগরীর অলিগলি, পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজারে ছেয়ে গেছে। মাইকিংয়ে-মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় মুখরিত হয়ে উঠছে নগরীর সড়ক, মহাসড়ক, অলিগলি। ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা ছেড়েছেন নাওয়া-খাওয়া, নিয়মিত ঘুম। গভীর রাত অবধি করতে হচ্ছে ভোটের হিসাব কষাকষি।
এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, কমিশনার ও সচিবসহ একাধিক কর্মকর্তা ১২ ডিসেম্বর রংপুরে আসছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আগমনকে ঘিরে নির্বাচন অফিস এখন ব্যস্ত সময় পার করছে।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার স্টাফ অফিসার আফতাব হোসেন জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ একাধিক কর্মকর্তা ১২ ডিসেম্বর রংপুরে আসবেন। তাদের প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তা ও সুধীজনদের সাথে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মেয়র পদে যে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন-জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা লাঙল প্রতীকে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া নৌকা প্রতীকে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন হাতি, স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি হরিণ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়াল হাতপাখা, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আবু রায়হান ডাব, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী তৌহিদুর রহমান মন্ডল দেওয়াল ঘড়ি, জাসদের প্রার্থী শফিয়ার রহমান মশাল ও জাকের পার্টির প্রার্থী খোরশেদ আলাম গোলাপ ফুল প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। শুক্রবার মেয়র, কাউন্সিল ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পরপরই প্রার্থীরা নগরীতের মাইকিং ও শোভাযাত্রা করে প্রচারণা শুরু করেছেন।
এদিকে মেয়র পদে ৯ জন ছাড়াও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৬৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭৯ জন মোট ২৫৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবার সংরক্ষিত এবং সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ২৪৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই