আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের রপ্তানি বাড়াতে সাভারের ট্যানারিকে আরও আধুনিকায়ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। আন্তর্জাতিক সংগঠন লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ (এলডব্লিউজি) সনদের জন্য আরও ২০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
শনিবার দুপুরে সাভারের হরিণধরা এলাকায় চামড়া শিল্প নগরী পরিদর্শন ও সিইটিপি বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মুখ্য সচিব। সংকট কাটিয়ে চামড়া শিল্প নগরীর উন্নয়ণে পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। এ সময় তার একান্ত সচিব, ঢাকা জেলা প্রশাসক, বিসিক পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক, সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ট্যানারি মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল মিয়া বলেন, ‘কোভিডের গত তিন বছরে চামড়া শিল্পে রপ্তানি অনেক কমে গেছে। এখন আমরা পজেটিভ ট্রেন্ডে যাচ্ছি। এখন প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি হচ্ছে এই খাতে। কাজটি করতে গিয়ে আমাদের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। যা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এই কাজ করতে গিয়ে পানির মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এই দূষণ কিভাবে বন্ধ করতে পারি সে জন্য পরামর্শ নিয়েছি। দেশের চামড়া শিল্পের সম্ভাবনা ও দূষণ ঠেকাতে নানা পরিকল্পনার কথা জানিয়ে মুখ্য সচিব বলেন, ‘চামড়া শিল্পকে গ্রো করার জন্য আমরা অনেক বেশি উৎসাহ দেব। সবাই মিলে শিল্পটাকে আরও বেশি ইফেক্টিভ করবো। যাতে ডোমেস্টিক এবং ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে আমরা খুব ভালোভাবে কমপ্লায়েন্ট হয়ে যাই।
এলডব্লিউজি সনদ বিষয়ে মুখ্য সচিব বলেন, এলডব্লিউজি সনদ পেতে পাশেই আরও বেশ কিছু জমি অধিগ্রহণ করা প্রয়োজন। আমরা চেষ্টা করবো আরও ২০০ একর জমি এই কাজের জন্য সংগ্রহ করতে। কারণ এলডব্লিউজি না হলে আমরা ইউরোপিয়ান মার্কেটে রপ্তানিতে পিছিয়ে পড়বো। সে জন্য এই কঠিন বর্জ্যগুলো ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল