পরিবেশ বাঁচাতে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অপচনশীল আবর্জনা, পলিথিন, প্লাস্টিক ও টায়ার ব্যবহার করে কালি ও তেল উৎপাদন করছে ‘প্লাস্টিক অ্যান্ড রাবার রিসাইক্লিং ওয়েল প্ল্যান্ট’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। দিনাজপুরের হাকিমপুর পৌর এলাকায় এ কার্যক্রমের ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাচ্ছে, অপরদিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
পাশপাশি অপচনশীল আবর্জনা-পলিথিন,প্লাস্টিক-টায়ার প্রসেস করে মেশিনের সাহায্যে তেল ও কালি উৎপাদন করা হয়। কারখানাটি গড়ে ওঠায় কিছু দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এখানে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে। আবার জমিসহ বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পলিথিন যে পরিবেশ বিপর্যয়ের সৃষ্টি হতো এই প্লান্টের ফলে তা থেকে রক্ষা পেয়েছে।
হাকিমপুর পৌরসভার প্লাস্টিক অ্যান্ড রাবার রিসাইক্লিং ওয়েল প্ল্যান্টের মালিক দীপক মোহন্ত জানান, দু'জন কর্মী দিয়ে এ কাজ শুরু করি। আজ জনবল বেড়েছে। এ প্লান্টে যে তেল তৈরি হয়, তা রাস্তার কাজে ব্যবহৃত ডিজেলের পরিবর্তে গ্রিনওয়েল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। গ্রিনওয়েল হিসেবে ব্যবহার করায় পরিবেশ বাঁচানোর পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয় হচ্ছে। আগে এটা বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো। টায়ার পোড়ানোর কালোধোঁয়া আটকে তা থেকে কালি তৈরি করা হয়। এটি কম্পিউটারের কালি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আবার রং-সহ বিভিন্ন কাজে এটাকে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও টায়ারের অবশিষ্টাংশ থেকে তাঁর বের হয়। সেটি রড ফ্যাক্টরিতে সরবরাহ করা হয়। এতে করে পৌর এলাকার আবর্জনা অপসারণের পাশাপাশি ২৫ জন শ্রমিকসহ প্রত্যক ও পরোক্ষভাবে শতাধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের ওপর একটি ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণের জন্য নেদারল্যান্ডস যান। সেখানে ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করে কাজে লাগাতে দেখে আসেন। তারপর তিনি আমাদেরও উদ্বুদ্ধ করেন। তার উৎসাহে ও সংযোগিতায় এ কারখানা চালু করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার