গত তিনদিন ধরে উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় কুড়িগ্রামে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। কুয়াশা আর মেঘের ছটায় প্রায় সময়টাতেই ঢেকে থাকে গোটা জনপদ। সকাল থেকে হালকা কুয়াশায় সূর্যের আলো দেখা যায় না।
দুপুর গড়িয়ে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও রোদের উত্তাপ তেমনটা অনুভূত হয় না। ফলে এ জনপদে সাধারণ খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছেন চরম বিপাকে। শীতকে উপেক্ষা করে কেউ কেউ বাইরে বের হলেও কষ্টের সীমা নেই তাদের।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস জানায়, সোমবার সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতদিনের চেয়ে ৩ ডিগ্রি আরও কমেছে।
এদিকে, প্রচণ্ড ঠান্ডায় গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন গবাদি পশুরাও পড়েছে চরম কষ্টে। শীতবস্ত্রের অভাবে ও ঠান্ডার প্রকোপে অতি কষ্টে দিন কাটছে জেলার হতদরিদ্র মানুষের। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্ট আরও চরমে পৌঁছেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, জেলায় এবারের শীতে ছিন্নমূল মানুষদের যাতে কষ্ট পেতে না হয়, সেজন্য ইতিমধ্যেই ৩৫ হাজার কম্বল দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৯ উপজেলায় আরও ১ কোটি ৯ লাখ টাকার শীতের কাপড়সহ কম্বল ক্রয় করে তা উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওদের মাধ্যমে বিতরণ চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই