বরগুনার পাথরঘাটা অটোরিকশা চালক শহিদুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে মারধর করে তার দাড়ি ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বেলাল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বুধবার বেলা ১১ টার দিকে সময় ভুক্তভোগী অটোচালক ছিঁড়ে ফেলা দাড়ি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এর আগে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাদুরতলা এলাকার কালাম ফরেস্টার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বেলাল হোসেন পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বাদুরতলা এলাকার মো. আলম মিয়ার ছেলে। লিখিত বক্তব্যে শহিদুর রহমান বলেন, ঘটনার দিন বাদুরতলা বাজার থেকে তার বাড়ি দক্ষিণ হাড়িটানার দিকে যাচ্ছিলেন। বাদুরতলা এলাকার কালাম ফরেস্টারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেল ড্রাইভার বেলাল হোসেন তাকে গাড়ি থামিয়ে হত্যা হুমকি দেয়। এ সময় অভিযুক্ত বেলাল অটো থেকে টেনে দাড়ি ধরে নামিয়ে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি দেয়। আত্মরক্ষার চেষ্টা করেও তিনি তার হাত থেকে বাঁচতে পারেননি। এ সময় বেলাল তার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলেন এবং তাকে বলেন এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তার অনেক ক্ষতি করবেন।
ভুক্তভোগী বলেন, পাথরঘাটা থানায় অভিযোগ করতে গেলে অভিযুক্ত বেলাল তাকে হুমকি-ধামকি দেন এবং বলেন, ‘থানায় আসবি জানতে পারলে থানার গেটের মধ্যেই ঢুকতে দিতাম না।’
স্থানীয় আয়নাল মৃধা জানান, ঘটনার দিন দুপুরের দিকে শহিদুর রহমানের স্ত্রী কারিমা বেগম ফোন করে জানান, তার স্বামীকে কে বা কারা মারধর করে রাস্তায় ফেলে রেখেছে। এ সময় দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে শহিদুর রহমানকে তার অটোরিকশার উপর পড়ে থাকতে দেখেন। তখন তাকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে পাথরঘাটা থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি।
অভিযুক্ত বেলাল হোসেন দাড়ি ছিঁড়ে ফেলার বিষয়টি অস্বীকার করলেও মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, জাফরের দোকান এলাকা থেকে তিনি বাদুরতলা বাজারের দিকে আসছিলেন। মধ্যে কালাম ফরেস্টারের বাড়ির সামনের মোড়ে অটো ড্রাইভার শহিদুর রহমান তার গায়ে গাড়ি উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় শহিদুর রহমানের সাথে কিল ঘুষির ঘটনা ঘটেছে। তবে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান জানান, একজন ব্যক্তির দাড়ি ছিঁড়ে ফেলেছে এ রকম একটি ঘটনা শুনেছি। ভুক্তভোগীকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল