এখন ব্যস্ততা কি নিয়ে?
'জীবনের অলিগলি', 'জয়িতা' ও 'নন্দিনী' নামের তিনটি মেগাসিরিয়ালে অভিনয় করছি। এ ছাড়া রবিঠাকুরের কবিতা নিয়ে 'পুরাতন ভৃত্য', 'দুইবিঘা জমি' নিয়ে কাজ করছি।
অনেক নাটক নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু মান রক্ষা হচ্ছে?
দীর্ঘদিনের সাধনা না থাকলে কোনো কিছুতেই সফলতা পাওয়া যায় না। যার কারণে নাটক তার শিল্পমানে উন্নীত হতে পারছে না।
চলচ্চিত্রের ব্যস্ততা কেমন?
বাপ্পারাজ পরিচালিত 'কার্তুজ', সাফিউদ্দিন সাফির 'পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী-২' ও 'এই গল্পে ভালোবাসা নেই' নামের তিনটা ছবিতে কাজ করেছি। তিনটা ছবিতে তিন ধরনের ক্যারেক্টার করেছি।
চলচ্চিত্রে নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছে আছে?
চলচ্চিত্র হচ্ছে একজন শিল্পীর সর্বশেষ ঠিকানা। চলচ্চিত্রের বিশাল ক্যানভাসে কাজ করার আগ্রহ ও ইচ্ছা সব অভিনয় শিল্পীর মাঝেই রয়েছে। তা ছাড়া একজন অভিনয় শিল্পীর নির্দিষ্ট কোনো মাধ্যম থাকতে নেই। গল্প ও চরিত্র যদি পছন্দ হয় তাহলে চলচ্চিত্রে নিয়মিত হব।
মঞ্চে সময় দিচ্ছেন কিভাবে?
মঞ্চ হচ্ছে আমার ভালোবাসা ও ভালোলাগার প্রধান ক্ষেত্র। মঞ্চের কাজের জন্য অনেক সময় আমি টেলিভিশনের নাটকও ছেড়ে দেই। দীর্ঘ ৩০ বছর মঞ্চের সঙ্গে আমার পথচলা। মঞ্চই আমাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। সন্তান যত ব্যস্তই হোক মা'কে কখনো ভুলে যেতে পারে না। মঞ্চ হচ্ছে আমার সাধনার জায়গা। যত ব্যস্ততাই থাকুক মঞ্চের জন্য যে কোনো উপায়ে আমি সময় বের করবই।
মঞ্চ তার জৌলুস হারিয়েছে। কারণটা কী?
আমি তো দেখতে পাচ্ছি মঞ্চ আগের চেয়ে বর্তমানে আরও ভালো অবস্থানে আছে। জৌলসু তো হারায়নি। মিলনায়তনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে নাট্যদলের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। জৌলুস না থাকলে হল খালিই পড়ে থাকত।
মঞ্চ, টেলিভিশন ও রেডিও তিন অঙ্গনের নাটকেই অভিনয় করছেন। তো কোন মাধ্যমটি বেশি প্রিয়?
একেকটা একেক ধরনের। একজন শিল্পীর নির্দিষ্ট কোনো মাধ্যম থাকা উচিত নয়। তবে আমি মঞ্চকেই বেশি ভালোবাসি।
তারকাখ্যাতিতে এক সময় শিল্পীরা মঞ্চকে ভুলে যায়। মঞ্চের প্রতি আগ্রহ তৈরি করার উপায় কী?
মঞ্চের প্রতি আগ্রহ কেউ কখনো হারায় না। এত ব্যস্ততার মাঝেও ঘুরে-ফিরে মঞ্চেই আসছি।
মোস্তফা মতিহার