৬ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে অনিমেষ আইচের প্রথম চলচ্চিত্র 'জিরো ডিগ্রী'। ছবিটি বেশ আলোড়ন তুলেছে ঢাকা শহরে। অভিনেত্রী জয়া আহসানের প্রতি চলচ্চিত্রের বুকিং এজেন্ট এবং হল মালিকদের অনীহা থাকার কারণে ছবিটি ঢাকার বাইরে হল পায়নি খুব একটা। তাই ঢাকার মধ্যেই কিছু হলে ছবিটি চলছে। এসব হলের দর্শক প্রতিক্রিয়া 'জিরো ডিগ্রী' নিয়ে বেশ ইতিবাচক। তবে জয়া আহসানের ব্যাপারে নাক কুঁচকানো ভাব বেশির ভাগ দর্শকের। সিনেমা হলগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ছবির দুই অভিনেত্রী জয়া আহসান আর দিলরুবা ইয়াসমীন রুহির প্রতি দর্শক প্রতিক্রিয়া আকাশ-পাতাল। জয়া সুপার ফ্লপ, রুহি সুপার হিট।
জয়াকে পছন্দ না করার মূল কারণ, চরিত্রের সঙ্গে তার অসামঞ্জস্য অভিনয়। কারণ ছবিতে জয়ার চরিত্রটি একজন তরুণীর। যাকে ছোটবেলা থেকে বড়বেলা পর্যন্ত দেখানো হয়েছে। কিন্তু পর্দায় জয়াকে একেবারেই তরুণী মনে হয়নি। তার বয়সের ছাপ স্পষ্ট ধরা গেছে। তাই চরিত্রটি জীবন্ত হয়ে ওঠেনি। একটি মেয়ের ভুল প্রেমে পড়ে প্রতারণার শিকার হওয়ার মতো তরুণীর শারীরিক ভাষা জয়া ফুটিয়ে তুলতে পারেননি। বরং চলি্লশোর্ধ্ব বয়সে তরুণী চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে বিরক্তির জন্ম দিয়েছেন দর্শক মনে। অন্যদিকে রুহির অভিনয় দারুণভাবে উপভোগ করেছেন দর্শক। স্বামী-সন্তান রেখে রুহি যখন পালিয়ে যায় তখন দর্শকের মনে দারুণ ঘৃণা তৈরি করতে পেরেছে সে। পরবর্তীতেও তার কর্মকাণ্ড দর্শককে ক্ষীপ্ত করেছে। আর রুহির সফলতা এখানেই।
বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্স সোমবার ছবি দেখে বের হওয়ার পথে দর্শক তসলিমা খানের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বলেন, 'রুহি অসাধারণ অভিনয় করেছে। জয়াকে মানায় নাই। এর থেকে মাহী, মিম, মম বা তিশা হলে ভালো হতো।' অন্যদিকে বলাকা হলে আরেক দর্শক মাহিম বলেন, 'খুব ভালো গল্প। পরিচালক ভালো বানিয়েছেন। সবার অভিনয় ভালো ছিল। শুধু বুঝলাম না, জয়াকে নিলো কেন! সে ভালো অভিনেত্রী। তাই বলে কি বয়স্ক হয়ে তরুণী চরিত্রে ফাটিয়ে দেবে?' এ কথা বলার সময়, পাশ থেকে আরেক দর্শক বলেন, 'পরিচালকের খাতিরের মানুষ মনে হয়।'
জয়াকে নিয়ে দর্শকের বিরূপ প্রতিক্রিয়া থাকলেও ছবির গল্প এবং নির্মাণশৈলী বেশ প্রশংসিত হয়েছে।