জন্মদিন কেমন কাটল?
প্রতিবারের মতো এবারের জন্মদিনটিও কেটেছে গানে গানে। সকাল থেকে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার ও গান গেয়ে জন্মদিনটা কাটিয়ে দিলাম। মনে মনে ভাবছি জীবন থেকে আরও একটি বছর কমে গেল।
বইমেলায় আপনার কয়টি বই প্রকাশ হয়েছে?
এবারের বইমেলায় আমার চারটি বই প্রকাশ হয়েছে। তার মধ্যে বয়েছে 'মুক্তিযুদ্ধের বিদেশি বন্ধুরা', 'মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজয়ের গান', 'নির্বাচিত নিবন্ধ,' 'প্রমাণ্য ফকির আলমগীর'।
নতুন কোনো অ্যালবামের কাজ করছেন?
এরই মধ্যে 'বেস্ট অফ ফকির আলমগীর' শিরোনামের একটি অ্যালবাম নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশ হয়েছে। এ ছাড়া 'স্মরণ', 'শপথের গান ও দুনিয়া কাঁপানো মানুষের গান'। এই অ্যালবামগুলোর কাজ চলছে।
বর্তমানের সংগীতের অবস্থা নিয়ে কিছু বলুন?
বিশ্বায়নের এই যুগে সব কিছুই পুঁজির দাসত্বে পরিণত হয়েছে। রাজনীতি থেকে শুরু করে সংস্কৃতিও এর বাইরে নয়। সংগীতের নির্যাসটুকু পুঁজি নিয়ে যাচ্ছে। অনেক নতুন শিল্পী আসছে, টিকে থাকতে পারছে কম। তাদের কয়টা গান আজ মানুষের মুখে মুখে আছে। কিন্তু এখনো এই দুঃসময়ে গণসংগীতই পারে রক্তের সঞ্চার ঘটাতে। আমাদের সে সময়ের গানগুলো এখনো মানুষকে উদ্দীপনা জুগিয়ে যায়।
সংগীতকে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় কি বলে আপনি মনে করেন?
আমাদের ঐতিহ্যের একটি সোনালি অতীত রয়েছে। সেটা আমাদের সব সময় এগিয়ে নিয়ে যায়। আগে অলিগলিতে হারমোনিয়ামের গলা সাধের আওয়াজ পেতাম। এখন আর সে সুর পাই না। আমাদের সেই সোনালি ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। সংগীতকে পুঁজির দাসত্বে বিকিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। এ দেশের ভালো গানগুলো সংরক্ষণ করতে হবে। এর মাধ্যমেই গুণী শিল্পীরা নতুন প্রজন্মের কাছে বেঁচে থাকবে।
শুনলাম আজ আপনার জন্মদিনটি পালন করবে গণগ্রন্থাগার কেন্দ্র?
হ্যাঁ, প্রতি বছরই গণগ্রন্থাগার কেন্দ্রে আমার জন্মদিনের পর দিন এ অনুষ্ঠানটি পালিত হয়। বিকেল ৫টায় এই অনুষ্ঠানটি শুরু হওয়ার কথা আছে। এখানে বিভিন্ন সংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ থাকবেন।
* আলী আফতাব