২০১২ সালের ডিসেম্বরে নয়াদিল্লিতে বাসে এক ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ইন্ডিয়া'স ডটার ভারতে প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার। নিষিদ্ধ করাকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে নিন্দা হয়েছে। এবার এ নিয়ে মুখ খুলেছেন বলিউড তারকা আনুশকা শর্মাও। ভারতে ইন্ডিয়া'স ডটারকে নিষিদ্ধ করা ঠিক হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন। খবর ইন্ডিয়া টুডে'র
ব্রিটিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা লেসলি উডউইন ইন্ডিয়া'স ডটার তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেন। কিন্তু তথ্যচিত্রটি যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেখানো হলেও এর প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। যুক্তরাষ্ট্রেও মুভিটির প্রদর্শিত হয়েছে। নিষিদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে আনুশকা বলেন, 'আমি এখনো তথ্যচিত্রটি দেখিনি। তবে আমি মনে করি, সেটি দর্শকরা দেখবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো তারা যথেষ্ট পরিপক্ক।'
কিছু কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত জানিয়ে তিনি বলেন, 'আবেগ নিয়ন্ত্রণে আমাদের যথেষ্ট বয়স হয়েছে। যদি অন্যরা ভাবে যে তথ্যচিত্রটি তাদের দেখা উচিত তাহলে সে সিদ্ধান্তটা তাদের ওপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত।' এসব বিষয়ে নিরব থাকা কোনো সমাধান নয় জানিয়ে ‘পিকে’ খ্যাত এ অভিনেত্রী বলেন, 'এতে করে আমাদের সমাজে সমস্যা আরো বেড়ে যায়। কাজেই সিদ্ধান্তটা জনগণ নিলেই বেশি ভালো হয়।'
তথ্যচিত্রটির সহ-প্রযোজক বিক্রমাদিত্য মটওয়ানও আনুশকাকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, 'নিষিদ্ধ করাটা কোনো সমাধান নয়।'
উল্লেখ্য, নয়াদিল্লিতে ২০১২ সালে গণধর্ষণের শিকার ২৩ বছর বয়সী এক মেডিকেল ছাত্রীর মৃত্যু-পরবর্তী পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে প্রামাণ্যচিত্র ইন্ডিয়া'স ডটার'এ। এটি বিবিসিতে গত বৃহস্পতিবার প্রচারিত হয়। আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে এর সম্প্রচার বন্ধ রাখা হয়েছে। মুভিটি ‘নারীদের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্কজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে’—এমন যুক্তি দেখিয়ে তার সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়।
এর আগে ব্রিটিশ চলচ্চিত্রকার লেসলি উডউইন তিহার জেলে গিয়ে দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডে অপরাধী বাসটির চালক মুকেশ সিংয়ের সাক্ষাৎকার নেন। যে প্রক্রিয়ায় এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল তা আইন বিরুদ্ধ বলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছিল ভারতের রাজ্যসভা। এরপর ‘ইন্ডিয়া'স ডটার’ ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
বিডি-প্রতিদিন/ ১০ মার্চ ২০১৫/শরীফ