সংগীতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশর কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন ও আধুনিক বাংলা গানের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী আরতি মুখার্জিকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে 'বাংলা উৎসব' অনুষ্ঠানে এই দুই গুনী শিল্পীকে এই সম্মান প্রদান করা হয়।
পুরস্কার পেয়ে উচ্ছ্বসিত সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, 'যে কোনো প্রাপ্তি খুব আনন্দের। আমি এই আনন্দটা দুই বাংলার মানুষের মধ্যে ভাগ করে নিতে চাই।'
বাংলা উৎসবের উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমি ভীষণ আনন্দিত। প্রথমত দুই বাংলার গানের উৎসব। তাছাড়া আমরা বাংলা গান করি, এখানেও বাংলা গান হয়। ভবিষ্যতে যদি এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে তবে দুই বাংলার শিল্পীরা ও জনগণ আরো কাছাকাছি আসবে।'
অন্যদিকে আরতি মুখার্জী বলেন, 'এটা সত্যিই এক অসাধারণ ব্যাপার। তবে সবচেয়ে ভালো লাগে যে, আমার যারা নিজের লোক তারা আমাকে ভালোবেসে এই পুরস্কার দিয়েছে, এর থেকে বড় আনন্দের কিছু নেই। অনেক জায়গায় আমি পুরস্কার পেয়েছি কিন্তু এটা আমার কাছে একটা বিশেষ উপহার। আমি খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত।'
দর্শক ও উদ্যোক্তাদের অনুরোধে পুরস্কার গ্রহণের পর এই দুই শিল্পী মঞ্চে নিজেদের পছন্দের গানের প্রথম কয়েক লাইন গেয়ে শোনান।
এদিকে আজ থেকেই নজরুল মঞ্চে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী বাংলা উৎসব। উৎসবের সূচনা করেন বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, বন্ধন ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চন্দ্রশেখর ঘোষ, নাথিং বিয়ন্ড সিনেমার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অভিনেতা অরিন্দম শীল, বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ শুভদীপ ঘোষ।
উৎসবের সমাপনী আগামী ৬ জানুয়ারি। ৩ দিনব্যাপী এই উৎসবে দুই বাংলার একাধিক প্রথিতযশা শিল্পী অংশ নেবেন। উৎসবের লক্ষ্য হলো বৃহত্তর বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে প্রবহমান সংস্কৃতি চর্চার নানা ধারা প্রতিফলিত করা।
উৎসবের প্রথম দিনের প্রথম শিল্পী ছিলেন লোপামুদ্রা মিত্র। তিনি শুরু করেন 'এসো হে বৈশাখ, এসো এসো' গান দিয়ে। পরের গানটি ছিল 'এসো শ্যামল সুন্দর..' এর পরেও বেশ কয়েকটি গান করেন।
পরের শিল্পী ছিলেন রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী প্রবুদ্ধ রাহা। এরপরে সঙ্গীত পরিবেশন করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, নচিকেতা চক্রবর্তী, শুভমিতা, ফাহমিদা নবী, অনুপম রায় প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল