এখানে আমার মার চিকিৎসার জন্য ভিসার এপ্লিকেশন করেছিলাম প্রায় মাস দেড়েক আগে। প্রায় দের মাস পর জার্মান এমব্যাসি আমার মা আর দুলাভাইকে ভিসা দিয়েছে। আশা করছি কিছুদিনের মাঝেই আমার মা এখানে আসবেন। আমি যেহেতু স্টুডেন্ট এপার্টমেন্টে থাকি তাই মা আর দুলাভাইকে নিয়ে তো আর এখানে থাকা যাবে না। তাই নতুন একটা বড় এপার্টমেন্ট খুঁজছিলাম আজ। এখানে ওয়েবসাইট থেকে এপার্টমেন্ট দেখে যোগাযোগ করতে হয়। কয়েকটা এপার্টমেন্ট পছন্দ হলো, তাই ফোন দিলাম কয়েকজনকে। বাসা বাড়ি খোঁজা যে এখানে এতো ঝামেলার কে জানত। এপার্টমেন্ট মালিকদের কথা শুনে মনে হলো এরা ঢাকা শহরের বাড়িওয়ালাদের চাইতেও সন্দিহান সব কিছুতে।
-একজন তো মুখের উপর বলে বসলো তুমি কি মুসলিম!
-আরেকজন বলছে তুমি কিসের উপর পিএচডি করো?
-আরেক মহিলা জিজ্ঞেস করেছে আমার কোন গার্লফ্রেন্ড আছে কিনা?
সব চাইতে মজার প্রশ্ন করেছে এক বয়স্ক ভদ্রলোক, তিনি জিজ্ঞেস করেছে
- আমার মা কি সিঙ্গেল কিনা! আমি ওর প্রশ্ন শুনে এমন ভাবে হাসতে শুরু করলাম এই দেখে সে খুব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো
-আমি কি কোন হাসির কোথা জিজ্ঞেস করেছি তোমাকে?
-আমি তাকে আর কিছু না বলে বললাম, এই প্রশ্ন করে তুমি আমাকে মন খুলে হাসতে সাহায্য করলে। শেষ কবে যে এভাবে হেসেছি মনে নেই। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ বলে আমি চলে এসেছি।
এখানে সিঙ্গেল মাদার থাকা খুব স্বাভাবিক। এদের চিন্তা ভাবনায়ও এটি খুব স্বাভাবিক। তবে বাসা ভাড়া নিতে যে যথেষ্ট ভোগান্তি পোহাতে হবে সেটি ঠিক বুঝতে পারছি। ঠিক বুঝতে পারছি না, বাসা ভাড়া নেয়ার সাথে আমার পিএচডির বিষয়বস্তু কি, আমার গার্লফ্রেন্ড আছে কিনা, এই সব জানার কি দরকার পড়লো! বাড়িওয়ালাদের স্বভাব দেখছি জগতের সব জায়গায়ই এক রকম!
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)