বরগুনায় রিফাতকে প্রকাশ্য দিবালোকে কোপানো হয়েছে সকাল ১০টার দিকে। বিকেল ৩টার দিকে বরিশাল শেরে বাংলা হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তার মানে হচ্ছে ঘটনাস্থলেই রিফাতের মৃত্যু হয়নি। আক্রান্ত হ্ওয়ার পরে অন্তত ঘণ্টা পাঁচেক তিনি মৃত্যুর সাথে লড়াই করেছেন। এই লড়াইকালে স্থানীয় হাসপাতারে তার চিকিৎসা হয়েছে। স্থানীয় চিকিৎসায় কি তার রক্তক্ষরণ বন্ধ করা গিয়েছিলো? এমন এলোপাতাড়ি কোপে যে রক্তক্ষরণ হয়, তা বন্ধ করার মতো চিকিৎসা সুবিধা কি বরগুনায় বা শেরে বাংলা হাসপাতালে আছে? না থাকলে রিফাতের মুত্যু ছাড়া আর কোনো গতিই তো ছিলো না।
যদি ভিন্নভাবে বলি। ধরুন, এলোপাতাড়ি কোপ খাওয়ার পর তার শরীরে যে প্রবল রক্তক্ষরণ হচ্ছিলো তা বন্ধ করার মতো চিকিৎসা ব্যবস্থা বরগুনায় ছিলো, শেরে বাংলা হাসপাতালে ছিলো। হাসপাতালে নেয়ার স্বল্পতম সময়ের মধ্যে চিকিৎসকরা রক্তক্ষরণ বন্ধের ব্যবস্থা করে ফেলেছেন। তা হলে কি রিফাত বেঁচে যেতো?
নিশ্চয়ই চিকিৎসকরা তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন রিফাতকে বাঁচাতে। চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। চিকিৎসকরা যে তাদের সক্ষমতার সবটুকু কাজে লাগাবেন- সেই সুবিধাটুকু তাদের আমরা দিতে পেরেছি কী না- প্রশ্নটা সেখানে।
রিফাতের মৃত্যুর আলোচনায় কেনো যে এই ভাবনাগুলো পেয়ে বসলো?
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা