মা-বাবার সেবা যত্ন করার মাঝে কোন মহত্ব নেই। প্রতিটি সন্তানের দায়িত্ব। কিন্তু মা-বাবার প্রতি দায়িত্ব পালনের কথা শুনলে অনেক সন্তান এখন বিরক্ত হয়ে বলে থাকেন, একই ধরনের তত্ত্ব কথা সবসময় শুনতে ভালো লাগে না। কি বিচিত্র আমাদের চিন্তা ভাবনা!
আপনার আয় কম, স্ত্রীর সাথে বোঝাপড়া হয় না, ঘরের জায়গা কম, সন্তানের পড়ালেখায় সমস্যা হয়, এইসব অজুহাতে আপনি আপনার মা-বাবাকে নিজের কাছে রাখলেন না। আপনার পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ আপনি হেলায় হারিয়ে ফেললেন।
আজ আপনি দামী গাড়ি চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। স্ত্রী, সন্তানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের আত্মীয় স্বজন নিয়ে দেশ বিদেশে নিয়মিত যাতায়াত। বড্ড বেমানান লাগে অসহায় বৃদ্ধা মা-বাবাকে সাথে নিতে। অনেক তথাকথিত উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি মা-বাবা বেঁচে আছেন, সে কথা বলতেই লজ্জা পান। মনে রাখা উচিত, সন্তানের জন্য পিতা-মাতার চেয়ে মূল্যবান সম্পদ পৃথিবীতে নাই। তাদের বিকল্প কোন কিছুতেই হবে না।
মাঝে, মাঝে মনে হয় বাবা-মায়েরা এত এত কষ্ট করে সন্তানকে বড় বড় পদ-পদবিধারী করতে গিয়ে বড় ধরনের ভুল করে ফেলেন। সন্তানের জন্য এত কষ্ট করার কি দরকার। লেখাপড়া না শিখিয়ে যদি ছোটবেলায় কৃষি কাজে কিংবা কারখানার কাজে লাগিয়ে দিতেন, তবে সন্তান অন্তত নিজের বাবা-মায়ের পরিচয় দিতে লজ্জা পেত না।
জীবনের মূল্য কত? চোখ বন্ধ করলে কিছুই সাথে নিতে পারবেন না। কিসের এত ব্যস্ততা? সারাদিনের মধ্যে মা-বাবার সাথে দশ মিনিট কথা বলার সময় বের করতে পারলেন না। আপনি একটা ব্যর্থ দিন পার করলেন।
প্রকৃতির বিচার বড়ই নির্মম। আজ আপনি যা যা করছেন, তার ফল সামনেই আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। জীবনের সময় কিন্তু খুব ছোট। শরীরের শক্তি যখন কমে যাবে, প্রকৃতির সেই বিচার সহ্য করতে পারবেন তো।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখক: উপ-পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা