কানাডার সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক কতো বছরের? অথচ এই প্রথম কানাডা- বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানো নিয়ে একটি ‘বাণিজ্য ফোরাম’ হলো। টরন্টোর কনসাল জেনারেল অফিস আর অন্টারিও চেম্বার অব কমার্স যৌথভাবে এই ফোরামের আয়োজন করে।
কনসাল জেনারেল অফিস থেকে যখন জানানো হয়- কানাডা- বাংলাদেশের মধ্যকার প্রথম বাণিজ্য ফোরাম এটি। তখন কি আমাদের বিস্মিত হওয়া দরকার ছিলো? আচ্ছা, এতোদিন হয়নি কেন? কানাডায় তো বাংলাদেশের হাই কমিশন আছে অনেক দিন থেকেই। যুগের পর যুগ ধরে হাই কমিশন এমন একটি ভাবনা ভাবলো না কেন?
টরন্টোর কনসাল জেনারেলের কার্যক্রম টরন্টোয়। কাজেই তিনি প্রভিন্সিয়াল পর্যায়েই এই ফোরামটির আয়োজন করেছেন। অন্টারিওর বাণিজ্যমন্ত্রী সেখানে ছিলেন। তবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব ছিলো সেই তূলনায় হাই প্রোফাইল। স্বয়ং বাণিজ্যমন্ত্রী, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধি, এফবিসিসিআইর সভাপতি মিলিয়ে ১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল এসেছে এই ফোরামে অংশ নিতে।
'কানাডা বাংলাদেশের সাথে' আর ‘বাংলাদেশ কানাডার সাথে’ কি ভাবে বাণিজ্য বাড়াবে তা নিয়ে দুটি প্যানেল আলোচনা হয়েছে এই ফোরামে। রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধির কি কাজ ছিলো এই ফোরামে তা অবশ্য জানা যায়নি।
এই ফোরামের ফেডারেল সরকারের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। তবে অন্টারিও চেম্বারের সদস্যরা ছিলেন, সেই বিচেনায় এই ফোরামের অবশ্যই গুরুত্ব আছে। সবচেয়ে বড় গুরুত্ব হচ্ছে- কানাডার ব্যবসায়ীদের সাথে এক টেবিলে বসে আলোচনার একটা সুযোগ হয়েছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য। প্রভিন্সিয়াল এই চেম্বারের সাথে এফবিসিসিআইর সমঝোতা স্মারকটিও গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতের জন্য নিসন্দেহে এটি সম্ভাবনার উপলক্ষ্য হয়ে থাকবে। কানাডার মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশের সাথে আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য আলোচনার এই ফোরাম আয়োজনের জন্য টরন্টোর কনসাল জেনারেল এবং তার অফিসকে অবশ্যই ধন্যবাদ দেবো। একই সাথে এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগটি আগে কেউ নিলেন না কেন, সেই প্রশ্নটিও করবো।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন