চাকরিজীবী কয়েকজন বন্ধু অফিসের পরে একসাথে মিলিত হয়েছে। উদ্দেশ্য রাতে ডিনার করবে। অনেকদিন পর গেট টুগেদার। কিছু সময় হাই-হ্যালো করার পরেই যে যার স্মার্টফোন বের করে ফেসবুকিং করা শুরু করল। নিজেদের মধ্যে তেমন কোন কথা নেই। সবাই স্ক্রিন স্ক্রলিং করেই চলছে। অহেতুক একই জিনিস বারবার দেখা, কোন সময়ে নোটিফিকেশন আসবে কিংবা এসেছে, কোন পোস্টে কতটা লাইক পড়েছে, কে কে লাইক দিয়েছে এই দেখা নিয়ে সবাই ব্যস্ত। সবচেয়ে মজার ব্যাপার খাবারের সময়ও অনেকে ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত ছিল। এই গ্রুপটার মধ্যে একজনের শুধু ফিচার ফোন ছিল। তার কাছ থেকেই ঘটনাটা শোনা। অবশ্য বিষয়গুলো সবার কাছে খুবই পরিচিত হয়ে গেছে।
ফেসবুকের ব্যবহার অনেকের কাছে আসক্তির মতো দাঁড়িয়েছে। যে মানুষগুলো বোঝে না তাদেরকে হয়তো বোঝানো যায় কিন্তু সব বোঝার পরেও যারা কারণ ছাড়া ফেসবুকে সারাক্ষণ বুঁদ হয়ে পড়ে থাকে, তাদেরকে বোঝানো সম্ভব না। নিজেদের উদ্যোগ নিজেদেরকেই নিতে হবে।
ফেসবুক ছাড়াও অনলাইনে আরো অনেক কিছু করার আছে। আমরা সৃজনশীল অনেক কিছু শিখতে পারি, ই-বুক পড়তে পারি, নিজেদের দক্ষতা উন্নয়ন করতে পারি, ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিষয় আছে। সময় যদি কম্পিউটার কিংবা মোবাইলে কাটাতেই হয় তাহলে তার একটা ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই কাটানো ভালো। এতে আপনি একটা রিটার্ন পাবেন। নিজেদের সময় কে মূল্যবান হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।
আপনার একটা পোস্টে ১৫ টা নাকি ২১৫ টা লাইক পড়লো, এতে কিন্তু আপনার কোন রিটার্ন নাই।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখকঃ উপ-পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক
বিডি-প্রতিদিন/ফারজানা