খাদ্যাভ্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রোগ প্রতিরোধের জন্যে। এটি পরিবর্তন করা এমন কোনো কঠিন কাজ নয়। পরিমিত ডায়েট করলে একদিকে যেমন রোগ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। অন্যদিকে তেমনি রোগ প্রতিরোধও সম্ভব।
কাকে বলে চাপ? কয়েকটি জনপ্রিয় সংজ্ঞা : ব্যক্তির কাছে কিছু প্রত্যাশা করা, বা তার স্বাভাবিক ক্ষমতার বাইরে। চাপ কোনো উপলক্ষে বা ঘটনা নয়, এটি মানুষের সীমাবদ্ধতাকে জানিয়ে দেয়। চারপাশের পরিবর্তনের সঙ্গে পেরে ওঠায় আমাদের অক্ষমতাই হলো চাপ। যখনি আমাদের পারিপার্শ্বিকতায় (শরীরিক, মানসিক, সামাজিক বা অর্থনৈতিক) পরিবর্তন আসে, যেটাকে আমরা মূল্যায়ন করি ধ্বংসাত্দক বা ক্ষতিকর; কিছু বিষয়ে সমঝোতা জরুরি হয়ে ওঠে। এরকম অবস্থায় আমাদের দেহ ও মন যেভাবে সাড়া দেয় তাকেই আমরা বলি স্ট্রেস বা চাপ। স্ট্রেসের নেতিবাচক প্রভাব
স্ট্রেসের সর্বনাশা প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। হাইপো থ্যালামাস ও পিটুইটারী গ্ল্যান্ড গভীরভাবে আক্রান্ত হয় এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তা নার্ভাস সিস্টেম ও এনডোক্রাইন সিস্টেমের ওপর প্রভাব ফেলে। এটা আরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে দেহের ইমিউন সিস্টেম, জর্বিজাতীয় মেটাবলিজম এবং নিউরনের ওপর। শরীরের ৭৫ ট্রিলিয়ন দেহকোষের প্রতিটি চিন্তার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই চাপমুক্ত থাকতে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। যেমন-জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কিছু সুবিধ থাকে। যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন সেই সুবিধাগুলোকে গভীর চিন্তার সঙ্গে কাজে লাগানোর চেষ্টা গ্রহণ করতে হয়। গতকাল যা করেছেন তার জন্য দুঃখিত হবেন না। নিজেকে অন্যের তুলনায় ছোট বা হীন ভাবনে না। সমালোচকদের উপকারী শুভানুধ্যায়ী ভাবুন। তারা কোনো ফি গ্রহণ ছাড়াই উপকার করছেন। আপনার দুর্বলতা নিয়ে সাইকোথেরাপিস্টের কাজ করে।
অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।