শিরোনাম
প্রকাশ: ১৯:০৩, বুধবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২১

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন

বার্ধক্য একটি ‘রোগ’, চিকিৎসায় এর ‘নিরাময়’ সম্ভব : মার্কিন বিজ্ঞানী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
বার্ধক্য একটি ‘রোগ’, চিকিৎসায় এর ‘নিরাময়’ সম্ভব : মার্কিন বিজ্ঞানী

আমরা জানি, বার্ধক্য ঠেকানো যায় না, বার্ধক্য একটা প্রাকৃতিক নিয়ম এবং প্রত্যেকেরই নিয়তি। আমরা বেশিরভাগ মানুষ জীবনকে এভাবেই দেখি। কিন্তু জেনেটিক বিজ্ঞানী ডেভিড সিনক্লেয়ার তা মনে করেন না। 

দুই দশকের ওপর এ বিষয়ে তিনি গবেষণা করেছেন। তিনি বলছেন, বার্ধক্যকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব - দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবনের জন্য প্রয়োজন শুধু কিছু সহজ অভ্যাস।

ড. সিনক্লেয়ার বিশ্বাস করেন, এমন দিন খুব দূরে নেই যখন ওষুধের সাহায্যে বার্ধক্য সারিয়ে তোলা সম্ভব হবে। এসব ওষুধ এখন পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে এবং এই ওষুধগুলো দিয়ে বুড়ো হওয়ার প্রক্রিয়া আসলেই আটকে রাখা যাবে বলে তিনি বলছেন।

কে এই বিজ্ঞানী ডেভিড সিনক্লেয়ার?

বিজ্ঞানী ড. ডেভিড সিনক্লেয়ার অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট করেছেন এবং পরবর্তীতে গবেষণা করেছেন আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস্ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে। বর্তমানে তিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একটি ল্যাবরেটোরির প্রধান, যেখানে তার গবেষণার বিষয় - ‘কেন আমরা বুড়ো হই’।

তার গবেষণার জন্য তিনি বিজ্ঞান জগতের বহু পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি একজন সেলিব্রিটিও। টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০জনের তালিকায় তিনি নির্বাচিত একজন ব্যক্তিত্ব এবং টুইটারে তার অনুসারীর সংখ্যা দুই লাখ। 

তার ৩৫টি গবেষণার সত্ত্বাধিকারী তিনি নিজে। তিনি বেশ কয়েকটি জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের হয় প্রতিষ্ঠাতা, নয়তো সেগুলোর কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশ কয়েকটি কাজের ক্ষেত্র হলো বার্ধক্য বিলম্বিত করা বা ঠেকানো।

মেরিল লিঞ্চ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, বার্ধক্য সংক্রান্ত কাজে বর্তমানে ব্যয় হচ্ছে ১১ হাজার কোটি ডলার, যা ২০২৫ সালে গিয়ে পৌঁছাবে ৬০ হাজার কোটি বা ৬০০ বিলিয়ন ডলারে।

বাজারে এখন সবচেয়ে বেশি কাটতি যে বইটির, সেটি ড. সিনক্লেয়ারের লেখা - ‘লাইফস্প্যান-হোয়াই উই এজ-অ্যান্ড হোয়াই উই ডোন্ট হ্যাভ টু’ (কেন আমরা বৃদ্ধ হই-আর কেন আমরা বৃদ্ধ হবো না)।

এই বইয়ে তিনি প্রচলিত বিশ্বাস ভাঙার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন - কেন বার্ধক্য একটা অবশ্যম্ভাবী প্রক্রিয়া নয়।

ড. সিনক্লেয়ার বিশ্বাস করেন বৃদ্ধ হওয়া নিয়ে যেভাবে আমরা ভাবি, সে ভাবনাতে আমাদের আমূল পরিবর্তন করতে হবে: আমাদের ভাবতে হবে বার্ধক্য একটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক নিয়ম নয়, আমাদের এটাকে একটা ‘অসুখ’ হিসেবে দেখতে হবে - অর্থাৎ রোগ হিসেবে এর চিকিৎসা সম্ভব এবং এর নিরাময়ও সম্ভব।

তিনি বলছেন, বৃদ্ধ বয়স নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি যদি আমরা একেবারে পাল্টে ফেলতে পারি, তাহলে মানবজাতির আয়ু উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো সম্ভব হবে।

অন্যথায়, তিনি বলছেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে অগ্রগতি হয়েছে তার ফলে আমাদের আয়ু আরও বছর দু’য়েক হয়ত বাড়ানো যাবে: ‘আমাদের লক্ষ্য সেটা আরও অনেক বাড়ানো।’

বিবিসি ব্রাজিলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. সিনক্লেয়ার যা বলেছেন নিচে তার সারাংশ দেওয়া হলো:

আমরা বৃদ্ধ হই কেন?

ড. সিনক্লেয়ার: বুড়ো হওয়ার নয়টি প্রধান কারণ চিহ্ণিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। গত ২৫ বছরে আমার চালানো গবেষণায় আমরা প্রমাণ পেয়েছি যে এগুলোর মধ্যে একটি হলো বৃদ্ধ হওয়ার পেছনে অন্য সব কারণ এর জন্য দায়ী, এবং এর ফলে শরীর তার সব তথ্য হারিয়ে ফেলে।

আমাদের শরীরের দুই ধরনের তথ্য মজুত থাকে - এর মধ্যে এক ধরনের তথ্য আমরা বংশগতভাবে পাই আমাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে, আর অন্য ধরনের তথ্যগুলো শরীরে তৈরি হয় সময়ের সাথ সাথে পরিবেশগত নানা কারণে।

এর একটি হলো ‘ডিজিটাল’ তথ্য - অর্থাৎ যেগুলো জেনেটিক সূত্র এবং অন্যটি হরো ‘অ্যানালগ’ তথ্য - যাকে বলা হয় 'এপিজিনোম', যেটি কোষের ভেতরকার একটা পদ্ধতি, অর্থাৎ কোন জিন চালু রাখতে হবে, কোনটা বন্ধ করে দিতে হবে সেটা যে পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করে।

একটা কোষের ভেতর যে ২০ হাজার জিন থাকে, সেগুলোর মধ্যে কোনটি সক্রিয় থাকবে, আর কোনটি নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে, সেটাই কোষটিকে বলে দেয় সে কে- অর্থাৎ ওই কোষের পরিচয় কী হবে এবং কীভাবে সেই কোষটি কাজ করবে।

কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এই এপিজিনোম পদ্ধতি তথ্য হারিয়ে ফেলতে শুরু করে। ধরুন ঠিক যেভাবে আপনার গানের একটা সিডিতে আঁচড় লেগে গেলে সিডি সেখান থেকে গানের অংশটা আর খুঁজে বের করতে পারে না। ফলে তথ্যের অভাবে কোষগুলোও ঠিক সময়ে সঠিক জিনকে চালু করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে - তাদের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। আমার মতে, এ কারণেই আমরা বুড়ো হই।

কেন বলছেন আমাদের বৃদ্ধ হওয়ার যুক্তি নেই?

ড. সিনক্লেয়ার: কারণ, জীব বিজ্ঞানে কোথাও লেখা নেই যে আমাদের বুড়ো হতে হবে। আমরা জানি না ঠিক কীভাবে এই প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হয়। যদিও এই প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার বিষয়টা আমরা ক্রমশ শিখেছি।

আমাদের ল্যাবে আমরা বৃদ্ধ হবার প্রক্রিয়াটা বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। আমার বক্তব্য, এই প্রক্রিয়া - যেটাকে বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় এপিজিনোম বলে - সেটা বদলানো সম্ভব।

যেটাকে আমি সিডিতে আঁচড় লাগার সাথে তুলনা করছি, সেটা আমাদের জীবনকে বিশালভাবে প্রভাবিত করে। আমরা কিছু জিনিস ঠিকভাবে করতে পারলে আমাদের বয়সের ঘড়িটায় জোরেসোরে রাশ টানা সম্ভব। আজকের দিনে এই ঘড়ির দমটা মাপাও যায় - রক্ত এবং থুতু পরীক্ষার মাধ্যমে।

আমরা ইঁদুর, এমনকি তিমি, হাতি আর মানুষের ওপর পরীক্ষা করে দেখেছি একেকটা প্রাণীর জীবনযাত্রা একেক রকম - ফলে তাদের প্রত্যেকের বয়স বাড়ে ভিন্ন গতিতে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হলো, ভবিষ্যতে আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা কী হবে, তার ৮০ শতাংশের বেশি নির্ভর করে আপনার জীবনযাত্রার ওপর, আপনার ডিএনএ’র ওপর নয়।

যারা বহু দিন বাঁচেন, তাদের ওপর গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন। এখানে জীবনযাত্রার মধ্যে রয়েছে আপনি সঠিক খাবার খাচ্ছেন কি না - যেমন ধরুন ভূমধ্যসাগরীয় এলাকার মানুষ যে ধরনের খাবার খায়, সেটা খুবই ভালো। কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া, বারবার না খাওয়া। শারীরিক ব্যায়ামও সাহায্য করে।

অনেকে আবার মনে করে বরফ বা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করে শরীরের তাপমাত্রা কমানোও উপকারী।

বৃদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়া দেরি করতে এগুলো কীভাবে সাহায্য করে?

ড. সিনক্লেয়ার: বিজ্ঞানীরা মনে করেন জীবনযাত্রার বিভিন্ন অভ্যাস এবং শরীর ভালো রাখতে অভ্যাসের যেসব পরিবর্তন আমরা করি, সেগুলো রোগব্যাধি এবং বার্ধক্যের বিরুদ্ধে শরীরের একটা স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। গরম বা ঠান্ডা বোধ, ক্ষুধা বোধ, দমের অভাব - এসব অনুভূতি শরীরের এই প্রতিরোধী প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে তোলে।

এই প্রতিরোধ ব্যবস্থার মূলে রয়েছে মাত্র গুটিকয় জিন। আমরা এগুলোর ওপর পরীক্ষা চালিয়েছি। এই জিনগুলো এপিজিনোমকে নিয়ন্ত্রণ করে। ক্ষুধা এবং ব্যায়াম এগুলোকে সক্রিয় করে তোলে। এ কারণেই আমরা মনে করি, সঠিক খাবার খাওয়া এবং উপোস করা বয়সের ঘড়িকে ধীরে চলতে সাহায্য করতে পারে।

বার্ধক্য বেশিরভাগ রোগের কারণ। হৃদরোগ, স্মৃতিভ্রম এবং ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ বার্ধক্য। কাজেই বার্ধক্য ঠেকাতে পারলে অনেক রোগ ঠেকানো সম্ভব, শরীরে জোর আনা এবং দীর্ঘায়ু হওয়া সম্ভব।

নেচার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, স্তন্যপায়ী প্রাণীরা অবশ্যই বৃদ্ধ হয়। সেটা কি আপনার গবেষণার উল্টো নয়? ওই গবেষণা অনুযায়ী বার্ধক্য তো ঠেকানো বা বিলম্ব করা সম্ভব নয়?

ড. সিনক্লেয়ার: ২০০ বছর আগে একজন মানুষ সবচেয়ে দ্রুত ভ্রমণ করতে পারতো একটা ঘোড়া যত জোরে ছুটতে পারে সেই গতিতে। এখন নতুন প্রযুক্তি অনেক কিছু বদলে দিচ্ছে। এমনকি জীব বিজ্ঞানও বদলে যাচ্ছে প্রযুক্তির কল্যাণে। প্রযুক্তি অনেক সমস্যার সমাধান করছে, অনেক উন্নতি আনছে। মানবজাতির সৃষ্টির ক্ষমতা তাকে উন্নত জীবন দিয়েছে। প্রযুক্তি ছাড়া আমরা বাঁচতাম না। বার্ধক্যকে জয় করতেও আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করব। সহস্রাধিক বছর ধরে সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা প্রযুক্তির দ্বারস্থ হয়েছি। এটাই হবে পরের ধাপ - অর্থাৎ উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের সীমাবদ্ধতাকে আমরা অতিক্রম করব।

আমরা প্রতিদিন কিন্তু এই কাজটা করি। আমরা শরীরে বদল আনতে ওষুধ খাই, আমরা পরিবেশ বদলাতে পদক্ষেপ নিই। একইভাবে আমরা শরীরের রসায়নও বদলাব। 

কিন্তু আপনি বার্ধক্যের মোকাবিলায় ভিন্ন পথের কথা বলছেন: আপনি বলছেন বার্ধক্য একটা রোগ। কেন?

ড. সিনক্লেয়ার: রোগ কিন্তু দুম করে হয় না। এটা শরীরের ভেতর বাসা বাঁধে। ধীরে ধীরে তার উপসর্গ, লক্ষণ প্রকাশ পায়। মৃত্যুও আসে সময়ের পথ পাড়ি দিয়ে। বুড়ো হবার প্রক্রিয়াটাও একই রকম। বার্ধক্য একটা রোগ। এটা সবার হয়। কিন্তু যেহেতু এটা সবার হয় এবং আমরা মনে করি, এটা প্রাকৃতিক নিয়ম, তার মানে এই নয় যে এটাকে মেনে নিতে হবে।

আমরা প্রমাণ করছি, এই রোগও সারানো যায়, এই রোগ ঠেকানো যায়, এই রোগের প্রকাশ বিলম্বিত করা যায়। বর্তমানে যেহেতু বার্ধক্যকে আমরা রোগ হিসেবে দেখি না, তাই ডাক্তাররা বার্ধক্যের চিকিৎসা করার জন্য কোনো ওষুধ দিতে দ্বিধা বোধ করেন। কিন্তু কিছু ওষুধ একজন মানুষকে বহু বছর সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। অতএব, বার্ধক্যকে অসুখ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে - অথবা অন্তত বলতে হবে যে, এটা চিকিৎসা করা যায় এমন একটা স্বাস্থ্য সমস্যা।

কিন্তু বুড়ো হওয়া বলতে আমরা যা বুঝি এটা তো তার থেকে অনেক আলাদা। বার্ধক্য আমরা মনে করি অবশ্যম্ভাবী একটা প্রক্রিয়া। আপনি বলছেন এর চিকিৎসা করা যায়, বুড়ো হওয়া দেরি করানো যায়, এমনকি বন্ধ করা যায়। একটু বিপ্লবী চিন্তাভাবনা নয় কি?

ড. সিনক্লেয়ার: বিপ্লবী বৈকি। কিন্তু বিমানে ওড়া, অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়া, কম্পিউটার ব্যবহার করা - এগুলো কি বিপ্লবী ছিল না? মানবজাতি তো এভাবেই এগোয়।

আমরা চাই চিকিৎসা বিজ্ঞানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন - আমরা চাই দীর্ঘ আয়ু। এমনকি আমরা যদি সব রোগ নিরাময়ের পথ আজ পেয়ে যাই- তাহলেও মানুষের আয়ু আমরা গড়ে মাত্র বছর দু'য়েকের বেশি বাড়াতে পারব। কিন্তু আমরা তো আরও অনেক বেশি চাই।

বৃদ্ধ হবার প্রক্রিয়া আপনারা ল্যাবরেটোরি পরীক্ষায় ঠেকিয়েছেন বলছেন? কীভাবে?

ড. সিনক্লেয়ার: এপিজিনোম প্রক্রিয়াকে কীভাবে মুছে ফেলা যায় আমরা সেটা উদ্ভাবনের কাজ করছি - অনেকটা সিডিতে লাগা আঁচড় পরিষ্কার করে ফেলার মতো। আমরা অনেক জিনের ওপর কাজ করেছি দেখার জন্য যে বৃদ্ধ হবার প্রক্রিয়া নিরাপদে আটকে দেওয়া যায় কি না। অনেক বছর এ কাজে আমরা সফল হইনি। এমনকি গবেষণাগারের এই কাজ করতে গিয়ে আমরা কোষের বদল ঘটিয়ে ক্যান্সার সৃষ্টি করে ফেলেছি।

অবশেষে আমরা তিনটে জিনের সন্ধান পাই, যেগুলোকে বলে ইয়ামানাকা ফ্যাক্টরস। এই জিনগুলো কোষের পরিচয় বদলায় না, কিন্তু বুড়ো হওয়া আটকে দেয়। এই কাজ আমরা করি মানুষের ত্বকের কোষ এবং স্নায়ুর কোষে।

এরপর আমরা ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালাই। ইঁদুরগুলোর চোখের স্নায়ু নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আমরা তাদের চোখের স্নায়ুতে প্রাণ ফিরিয়ে তাদের দৃষ্টিশক্তি পুনরুদ্ধার করেছি।

এটা কি ভবিষ্যতে মানুষের ওপর কাজ করবে?

ড. সিনক্লেয়ার: দেখুন, এমন মানুষ আছেন যারা এটা বিশ্বাস করেন এবং গবেষণায় অর্থ লগ্নী করতে চান। তাদের সাথে আমার ফোনে কথা হয়েছে।

তারা ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালাতে দু'বছরের জন্য অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে আমরা মানুষের ওপর প্রথম ট্রায়াল শুরু করব। আমরা দেখব এই প্রক্রিয়ায় মানুষের অন্ধত্ব নিরাময় করা যায় কি-না।

বিজ্ঞান এ পর্যন্ত কী আবিষ্কার করতে পেরেছে আর বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখার যে ওষুধের কথা আপনি বলছেন তা নিয়ে কতটা কাজ হয়েছে?

ড. সিনক্লেয়ার: কিছু অণু আমরা খুঁজে বের করেছি - প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়, আবার রসায়নাগারে তৈরি করা যায়। দু'রকমই। এগুলো বুড়ো হবার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে এবং আয়ু বাড়াতে কাজ করবে এমন প্রতিশ্রুতি আমরা দেখতে পেয়েছি। প্রাণী দেহে এবং এমনকি মানুষের শরীরেও এগুলো কাজ করবে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।

এর মধ্যে অন্তত দু'টি ওষুধ ইতোমধ্যেই বাজারে পাওয়া যায়। এ ধরনের একটা ভালো ওষুধের উদাহরণ হলো মেটফরমিন, যা টাইপ-টু ডায়বেটিস রোগীদের দেয়া হয়।

ডায়বেটিস রোগী, যারা মেটফরমিন খাচ্ছেন, তারা ডায়বেটিস হয়নি এমন মানুষের চেয়ে বেশিদিন বাঁচছেন এমন প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। হাজার হাজার যেসব মানুষ মেটফরমিন খান তাদের ওপর চালানো গবেষণার তথ্য-উপাত্ত নিয়ে ক্যান্সার, হৃদরোগ, আলঝাইমার এবং এই ওষুধের গুণাগুণ যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

আমরা কি তাহলে মরব না? চিরকাল বাঁচব?

ড. সিনক্লেয়ার: না (হাসতে হাসতে), চিকিৎসা গবেষণা তাহলে কিসের জন্য বলুন?

আমাদের দীর্ঘ আয়ু আর সুস্থ জীবনের জন্য?

ড. সিনক্লেয়ার: অবশ্যই। ব্যাপারটা একই রকম। পার্থক্যটা হলো - আমরা চাইছি রোগ দেখা দিলে ব্যান্ডেজ না বেঁধে, আগেই রোগের শিকড়টা খুঁজে বের করা। সেটা করতে পারলে তার ফল অনেক ভালো হবে। আর গোটা শরীর তাতে উপকার পাবে।

আমরা চাই না যে হার্টের বয়স কমুক, কিন্তু মস্তিষ্কের ক্ষয় হোক, মস্তিষ্কের বয়স বাড়ুক। সেটা হলে মানুষের হার্টের অসুখ কমবে, কিন্তু আরও মানুষ আলঝাইমার রোগে ভুগবেন। আমাদের এমন পথ বের করতে হবে যেখানে শরীরের সব অংশ সুস্থ থাকবে। আমি সেই পথেই এগোচ্ছি।

এই উদ্ভাবন সামগ্রিকভাবে সমাজকে কীভাবে উপকৃত করবে?

ড. সিনক্লেয়ার: ধরুন, আপনার বয়স ৯০-এর বেশি। আপনি ব্যক্তিগতভাবে উপকৃত তো হবেন। আপনি নানা ধরনের কাজ করতে পারবেন - ধরুন আলাদা কেরিয়ার, আপনার নাতিপুতিদের সাথে খেলা করতে পারবেন। আপনার সন্তানদের বোঝা হয়ে থাকতে হবে না।

এরপর রয়েছে অর্থকরী সুবিধা। আমি, আমার সহকর্মীরা এবং লন্ডনের কিছু অর্থনীতিবিদের আনুমানিক হিসাব হলো, মানুষের গড় আয়ু মাত্র দু'বছর বাড়াতে পারলে, শুধু আমেরিকাতেই আগামী কয়েক দশকে দেশটির অর্থনীতিতে ৮৬ বিলিয়ন ডলার যুক্ত হবে। আর মানুষকে যদি আরও দশ বছর স্বাস্থ্যকর জীবন দেওয়া যায়, তাহলে এই মূল্য দাঁড়াবে ৩০০ বিলিয়ন ডলারে।

কোথা থেকে এই বাড়তি আয় আসব? মানুষ অসুস্থ হবে না। আমেরিকায় রোগের চিকিৎসায় খরচ হয় হাজার হাজার কোটি ডলার। আমি স্বাস্থ্য সেবার কথা বলছি না - চিকিৎসা সেবার হিসাব দিচ্ছি। চিকিৎসায় এই অর্থ যদি ব্যয় করতে না হয়, তাহলে তা শিক্ষা খাতে বা ধরুন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় খরচ করা যাবে।

মেরিল লিঞ্চ ব্যাংকের একটা হিসাব বলছে এই খাতে এখন কয়েক হাজার কোটি ডলার অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে? এই খাতে এত ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগের ব্যাপারে এত উৎসাহ কেন?

ড. সিনক্লেয়ার: গোটা বিশ্বে সমাজের এই বিশাল চাহিদার জায়গাটা এখনও পূরণ হয়নি। পৃথিবীতে এমন একজন মানুষকেও পাওয়া যাবে না, যে এই গবেষণার সুফল ভোগ করবে না।

শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি বাড়ানো যায়, সেটা পৃথিবীতে একটা বিপ্লব আনবে। দশকের পর দশক জুড়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে হাজার হাজার কোটি ডলার সাশ্রয় হবে।

এমন একটা বিশ্ব তৈরি হবে, যা আজকের পৃথিবী থেকে ভিন্ন।

বার্ধক্য রোধে কাজ করছে এমন অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে আপনি সরাসরি যুক্ত। আপনার কি মনে হয় না যে লোকে আপনাকে নিছক একজন গবেষক যিনি বিশ্বের কল্যাণে কাজ করছেন তা মনে না করে ভাবতে পারে এই বিশাল খাত থেকে মুনাফা অর্জনই আপনার মূল লক্ষ্য?

ড. সিনক্লেয়ার: আমার মূল লক্ষ্য মানুষকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করা। আর তার জন্য ওষুধ যদি লাগে, তাহলে সেই ওষুধ তৈরির জন্য একটা টিমকে তো কাজে লাগাতে হবে। আমি সেটাই করছি।

আপনি কি ব্যবসায়ী হিসেবে না থেকে সেটা শুধু গবেষক হিসেবে করতে পারতেন না?

না। কারণ, একটা ওষুধ তৈরি করতে লাখ লাখ ডলারের প্রয়োজন। কিন্তু আপনি কি মনে করেন না যে, এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে আপনার সম্পৃক্ততার কারণে লোকে আপনার উদ্দেশ্যকে সন্দেহের চোখে দেখতে পারে?

আমার বিজ্ঞান তার নিজের ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা পাবে। বিজ্ঞান সন্দেহের ঊর্ধ্বে - তা কখনও মিথ্যা প্রমাণিত হয়নি।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
ভাতেও মিলল আর্সেনিক, এশিয়ানদের জন্য সতর্কবার্তা
ভাতেও মিলল আর্সেনিক, এশিয়ানদের জন্য সতর্কবার্তা
কেন শরীরে পানি বৃদ্ধি পায়?
কেন শরীরে পানি বৃদ্ধি পায়?
দ্রুত হাঁটলে বেশি উপকার!
দ্রুত হাঁটলে বেশি উপকার!
হিমোফিলিয়া নিয়ে কিছু কথা
হিমোফিলিয়া নিয়ে কিছু কথা
জাপানে হৃদরোগ চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত
জাপানে হৃদরোগ চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত
আজকাল শিশুদের চশমা লাগে কেন?
আজকাল শিশুদের চশমা লাগে কেন?
রক্তচাপ মাপার সঠিক নিয়ম জানতে হবে
রক্তচাপ মাপার সঠিক নিয়ম জানতে হবে
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো ‘২৬তম পেইন কংগ্রেস ২০২৫’
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো ‘২৬তম পেইন কংগ্রেস ২০২৫’
রিং-বাইপাস পরবর্তী চিকিৎসা ও যত্ন
রিং-বাইপাস পরবর্তী চিকিৎসা ও যত্ন
ঘাড় ও কোমর ব্যথায় যা করবেন
ঘাড় ও কোমর ব্যথায় যা করবেন
যেসব কারণে শরীরে পানি বৃদ্ধি পায়
যেসব কারণে শরীরে পানি বৃদ্ধি পায়
ইউরিক এসিড ও গেঁটে বাত
ইউরিক এসিড ও গেঁটে বাত
সর্বশেষ খবর
৭ বাচ্চা রেখে নিখোঁজ মা বিড়াল, সন্ধানে শহরজুড়ে মাইকিং
৭ বাচ্চা রেখে নিখোঁজ মা বিড়াল, সন্ধানে শহরজুড়ে মাইকিং

এই মাত্র | পাঁচফোড়ন

আমেরিকায় নদীতে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৩
আমেরিকায় নদীতে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৩

৩১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কৃষিতে বিষমুক্ত উৎপাদনের লক্ষ্যে কুমিল্লায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা
কৃষিতে বিষমুক্ত উৎপাদনের লক্ষ্যে কুমিল্লায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি

৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

ঐশ্বরিয়ার কথাতেই থেমে যায় অভিষেকের রাগ
ঐশ্বরিয়ার কথাতেই থেমে যায় অভিষেকের রাগ

৬ মিনিট আগে | শোবিজ

তাঁদের স্বপ্নের বাস্তবায়নে পাশে আছে বসুন্ধরা গ্রুপ
তাঁদের স্বপ্নের বাস্তবায়নে পাশে আছে বসুন্ধরা গ্রুপ

৬ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বিএনপি আন্তরিকতার সঙ্গে সংস্কার কমিশনকে সহযোগিতা করছে : সালাহউদ্দিন
বিএনপি আন্তরিকতার সঙ্গে সংস্কার কমিশনকে সহযোগিতা করছে : সালাহউদ্দিন

৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

চকবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্লাস্টিক কারখানার কর্মীর মৃত্যু
চকবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্লাস্টিক কারখানার কর্মীর মৃত্যু

১২ মিনিট আগে | নগর জীবন

৭০তম জন্মদিনে মহাকাশ থেকে ফিরলেন আমেরিকার প্রবীণতম নভোচারী
৭০তম জন্মদিনে মহাকাশ থেকে ফিরলেন আমেরিকার প্রবীণতম নভোচারী

১৫ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ ‘স্নো হোয়াইট’
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ ‘স্নো হোয়াইট’

১৮ মিনিট আগে | শোবিজ

‘বাবার মুখ পুড়িয়ে দিয়েছো’, প্রথম ছবির পর পরিবারের ক্ষোভ
‘বাবার মুখ পুড়িয়ে দিয়েছো’, প্রথম ছবির পর পরিবারের ক্ষোভ

২২ মিনিট আগে | শোবিজ

এডহক কমিটি বাতিলের দাবিতে গণস্বাক্ষর
এডহক কমিটি বাতিলের দাবিতে গণস্বাক্ষর

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা দিল অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস-সুপ্রিম কোর্ট বার
নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা দিল অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস-সুপ্রিম কোর্ট বার

২৮ মিনিট আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৯ জন ট্রাইব্যুনালে
আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৯ জন ট্রাইব্যুনালে

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

নেপাল-বাংলাদেশ কাবাডি টেস্ট সিরিজের ট্রফি উন্মোচন
নেপাল-বাংলাদেশ কাবাডি টেস্ট সিরিজের ট্রফি উন্মোচন

৪৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকাসহ ১১ জেলায় সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
ঢাকাসহ ১১ জেলায় সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

প্রতারণা, কনের বদলে বিধবা মাকে বিয়ে!
প্রতারণা, কনের বদলে বিধবা মাকে বিয়ে!

৫১ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে : আইন উপদেষ্টা

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠক শেষে যা জানাল ইরান
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠক শেষে যা জানাল ইরান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লিতে ভবনধসের ঘটনায় নিহত বেড়ে ১১
দিল্লিতে ভবনধসের ঘটনায় নিহত বেড়ে ১১

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘কেশরী চ্যাপ্টার টু’ দিয়েই কি অক্ষয়ের কামব্যাক?
‘কেশরী চ্যাপ্টার টু’ দিয়েই কি অক্ষয়ের কামব্যাক?

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

২০০ মিয়ানমার নাগরিক পালিয়ে থাইল্যান্ডে এসেছে, দাবি থাই কর্তৃপক্ষের
২০০ মিয়ানমার নাগরিক পালিয়ে থাইল্যান্ডে এসেছে, দাবি থাই কর্তৃপক্ষের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হবিগঞ্জে দুই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জে দুই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রহস্যময় 'পিরামিড' আবিষ্কার, বদলে দিতে পারে ইতিহাসকে
রহস্যময় 'পিরামিড' আবিষ্কার, বদলে দিতে পারে ইতিহাসকে

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

দিনাজপুরে ভবেশের মৃত্যুর ঘটনায় ভারতের দেয়া বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করলো বাংলাদেশ
দিনাজপুরে ভবেশের মৃত্যুর ঘটনায় ভারতের দেয়া বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করলো বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাইজেরিয়ায় সন্দেহভাজন পশুপালকদের হামলায় নিহত ১৭
নাইজেরিয়ায় সন্দেহভাজন পশুপালকদের হামলায় নিহত ১৭

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'বেবি এবি'খ্যাত ব্রেভিসকে দলে নিয়েছে চেন্নাই
'বেবি এবি'খ্যাত ব্রেভিসকে দলে নিয়েছে চেন্নাই

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

থাইল্যান্ডে পালিয়েছে প্রায় ২০০ মিয়ানমার নাগরিক
থাইল্যান্ডে পালিয়েছে প্রায় ২০০ মিয়ানমার নাগরিক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রেকর্ড দর্শকের সামনে গোলহীন মেসি, তবুও জয় মায়ামির
রেকর্ড দর্শকের সামনে গোলহীন মেসি, তবুও জয় মায়ামির

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে আমেরিকা
ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে আমেরিকা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের অনীহা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় ইসরায়েল
ট্রাম্পের অনীহা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় ইসরায়েল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

২৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

হুতির হামলায় সবচেয়ে অত্যাধুনিক ২০টি ড্রোন হারিয়ে বিপাকে যুক্তরাষ্ট্র
হুতির হামলায় সবচেয়ে অত্যাধুনিক ২০টি ড্রোন হারিয়ে বিপাকে যুক্তরাষ্ট্র

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

২২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি
কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি

১৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত
শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে
স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে

১৫ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভাতেও মিলল আর্সেনিক, এশিয়ানদের জন্য সতর্কবার্তা
ভাতেও মিলল আর্সেনিক, এশিয়ানদের জন্য সতর্কবার্তা

২ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

অস্ত্র ত্যাগ করবে না হিজবুল্লাহ, ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিলেন নাঈম কাশেম
অস্ত্র ত্যাগ করবে না হিজবুল্লাহ, ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিলেন নাঈম কাশেম

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি
নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পর্যটনের অপার সম্ভাবনা থাকলেও উন্নয়নবঞ্চিত সীমান্ত কন্যা
পর্যটনের অপার সম্ভাবনা থাকলেও উন্নয়নবঞ্চিত সীমান্ত কন্যা

২২ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আকাশে বিরল গ্রহ-চাঁদের মিলন: দেখা যাবে ‘স্মাইলি ফেস’
আকাশে বিরল গ্রহ-চাঁদের মিলন: দেখা যাবে ‘স্মাইলি ফেস’

১৯ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন

রকমারি

বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি

রকমারি

সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি
সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার

রকমারি

সুফল মেলেনি ট্রানজিটে
সুফল মেলেনি ট্রানজিটে

পেছনের পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি
ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি

প্রথম পৃষ্ঠা

সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র
সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার

রকমারি

হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে
হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট
মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট

নগর জীবন

শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে

রকমারি

আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে
আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন
নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট
১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ
অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ

শোবিজ

স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে
স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য
শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য

নগর জীবন

প্রেমের টানে বাংলাদেশে
প্রেমের টানে বাংলাদেশে

রকমারি

সিনেমা হলের এ কি হাল?
সিনেমা হলের এ কি হাল?

শোবিজ

প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...
প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...

শোবিজ

ঢাকায় হুনানের গভর্নর
ঢাকায় হুনানের গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

মেহজাবীনের চাওয়া
মেহজাবীনের চাওয়া

শোবিজ

রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা
রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা

মাঠে ময়দানে

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’

শোবিজ

সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে
সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে

মাঠে ময়দানে

ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ
ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ

শোবিজ

স্বাধীনতা কাপ ভলিবল
স্বাধীনতা কাপ ভলিবল

মাঠে ময়দানে