ভারতের বিহারে ভোটের পরই পশ্চিমবঙ্গে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার পরিকল্পনা ছিল বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের। কিন্তু বিহার ভোটের ফলাফলই বিজেপি’র সেই অঙ্কে পানি ঢেলে দিল। সূত্রে খবর তৃণমূলের বিরুদ্ধে এখনই কোন লড়াইয়ে নামছে না বিজেপি। উল্টে নতুন করে ঘর গোছানোর প্রস্তুতি নিয়েছে বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব।
বিহারের ফল বিজেপিকে এতটাই ধাক্কা দিয়েছে যে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ‘উত্থান দিবস’ও বাতিল করেছে তারা। ২০১৪ সালে লোকসভায় বিপুল সাফল্যের পরই ২০১৬ সালের বিধানসভার ভোটে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দেখার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল গেরুয়া বাহিনী। ওই বছরই ৩০ নভেম্বর উত্থান দিবসে কলকাতায় হাজির হয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। গতবারের মতো আসার কথা ছির এবারও, কিন্তু আচমকাই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন।
আগামী ৩০ নভেম্বরের বদলে অমিত শাহ আসবেন আগামী ডিসেম্বরে। ডিসেম্বরের গোড়াতেই সারদা কেলেঙ্কারি, অপশাসন নিয়ে রাজ্য জুড়ে দলের জেল ভরো আন্দোলনের কর্মসূচী নেওয়া হবে। তারপরই দুইটি সভা করবেন অমিত শাহ। একটি কলকাতায়, অন্যটি শিলিগুড়িতে। অমিত শাহের সভার আগেই বেশ কয়েকটি সভা করবেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। এছাড়া জানুয়ারীতে কলকাতায় আনার চেষ্টা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। অমিত-মোদির পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকেও একাধিক জায়গায় সভা করানোর জন্য আনা হতে পারে।
এব্যাপারে বিজেপি তরফে যে বক্তব্য পাওয়া গেছে তার মূল কথা হল ‘বিহার ফলের ধাক্কা লাগল কলকাতাতেও’। কলকাতা নিয়ে বিজেপি নেতাদের যে উৎসাহ ছিল, তাতে আপাতত ভাঁটা পড়েছে। তাছাড়া অমিত-মোদির যুগলবন্দী বিহারে ব্যর্থ হওয়ায় এই জুটিকে সামনে রেখে বাংলায় ভোট যুদ্ধে নামা হবে কি না তা নিয়েও নতুন করে ভাবনা চিন্তু শুরু হয়েছে দলের ভিতরে। যদিও বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিং তা মানতে চাননি। তাঁর বক্তব্য বিহার ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার আগেই গত ৬ নভেম্বর দিল্লির বেঠকেই অমিত শাহের সভা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে আমরা ধীরে চলো নীতি নিচ্ছি না’।
বিডি-প্রতিদিন/১২ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব