ঐক্যমত্যই গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শক্তি বলে মনে করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর মতে, ‘সংখ্যাগুরু কিংবা সংখ্যালঘু ভোটবাক্স নয়, যে কোন বিষয়ে সহমত পোষণ করাটাই গণতন্ত্রের প্রধান শক্তি’।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদি বলেন, ‘ভারত বৈচিত্র্যের দেশ এবং এই দেশের সংবিধান সব নাগরিকদেরই এক সূত্রে বেঁধে রাখার কাজ করছে। অতএব সংবিধানের পবিত্রতা রক্ষা করাটা আমাদের দায়িত্ব’। তিনি বলেন, সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্থ এটা নয় যে অন্যের ওপর কোন কিছু চাপিয়ে দেওয়া। সংখ্যাগুরু কিংবা সংখ্যালঘু সেদিকে না তাকিয়ে, আমাদের উচিত সকলে মিলে ঐক্যমত্যে পৌঁছে আরও বেশি বেশি করে কাজ করা। কারণ ঐক্যমত্যই হল গণতন্ত্রের সবচেড়ে বড় শক্তি’।
সংসদের অধিবেশন চালানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘লোকসভায় সুষ্ঠুভাবে আলোচনা চালানোর জন্য শুধু আমার কিংবা আপনার দায়িত্ব নিলেই হবে না, আমাদের সকলেরই এই উদ্যোগ নিতে হবে’। সংবিধান নিয়ে বিতর্কসভায় উপস্থিত থাকার জন্য সংসদে উপস্থিত সব সংসদ সদস্যদেরই ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু মানুষের ভুল ধারণা আছে যে, সবকিছু ঘটনার শেষেই প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দেবেন। কিন্তু আজ এখানে অন্যরা যা বলেছে আমিও তাই বলছি এবং আমার মতামত তুলে ধরেছি’।
আগের ইউপিএ সরকারের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই দেশ মহারাজারা তৈরি করেনি। এই দেশ গঠনের পিছনে অনেক মানুষ এবং প্রতিটি সরকারেরই অবদান আছে। কেউই বলতে পারবে না যে আগের সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য কোন কাজ করেনি।'
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘২৬ নভেম্বর আমরা সংবিধান দিবস হিসেবে পালন করি কিন্তু তাতে ২৬ জানুয়ারি (প্রজাতন্ত্র দিবস)-এর গুরুত্ব কমে না। আমাদের সংবিধানে ঐক্যবদ্ধ ভারতের কথা বলা আছে। দেশের মধ্যে এত তিক্ততাই মনে করিয়ে দিচ্ছে যে সংবিধান রচনা করতে আমাদের মহান নেতারা কিভাবে একত্রিত হয়ে কাজ করেছিল’।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব