যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় সান বার্নার্দিনো শহরের প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে নির্বিচারে গুলি চালানোর আগে রিজওয়ান ও তাসফিন তাদের ছয় মাস বয়সী কন্যাশিশুকে বাড়িতে দাদির কাছে রেখে এসেছিলেন। সিএনএন জানিয়েছে, রিজওয়ান তার দাদিকে বলে এসেছিলেন যে, তারা ডাক্তারের কাছে যাচ্ছেন।
ওই হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হামলার পর পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে হামলাকারী সৈয়দ রিজওয়ান ফারুক (২৮) ও তাসফিন মালিক (২৭) নিহত হন।
গোলাগুলির খবর শুনে রিজওয়ানের দাদি উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়েন নাতি-নাতবৌর নিরাপত্তা নিয়ে। পরে ঘটনা শুনে পুরোপুরি হতভম্ব হয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, হলিডে পার্টিতে কয়েকজনের সঙ্গে ঝগড়ার পর বেরিয়ে গিয়েছিলেন রিজওয়ান। কিছুক্ষণ পর তাসফিনকে নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় ফিরে এসে গুলি চালাতে শুরু করেন।
ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পরিবেশ চিকিৎসার উপর ডিগ্রি নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিভাগে কাজ করছিলেন রিজওয়ান। তার চাকরি সংক্রান্ত কোনো জটিলতা ছিল না বলেই জেনেছে পুলিশ। আগে কোনো অপরাধে জড়িত থাকার নজিরও নেই।
রিজওয়ানের ভগ্নিপতি ফারহান খান বলেন, তারা এই ঘটনায় পুরোপুরি হতভম্ব। কেন এটা হল, তা জানতে তারা এখন পুলিশের তদন্তের অপেক্ষায় আছেন।
সহকর্মীরা বলছেন, রিজওয়ান খুব বেশি মেলামেশা করতেন না কারও সঙ্গে। অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক সীমাবদ্ধ ছিল 'হাই ও বাই' এর মধ্যেই।
মারিয়া গুটিরেজ নামে এক সহকর্মী বলেন, রিজওয়ান ছিল খুব শান্ত প্রকৃতির এবং ভীষণ ভদ্র।
তবে হামলার সময় রিজওয়ান ও তাসফিন প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিলেন বলে দাবি করেছেন পুলিশ কর্মকর্তা বারজুয়ান। তিনি বলেন, হামলার সময় রিজওয়ান দম্পতির হাতে ছিল অ্যাসল্ট রাইফেল ও হ্যান্ডগান, পরনে ছিল কমান্ডো পোশাক।
বিডি-প্রতিদিন/০৪ ডিসেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ