সিরিয়ার বিদ্রোহীরা আলেপ্পোর বেসামরিক লোক ও আহতদের নিরাপদে শহর ছেড়ে যাবার জন্য বুধবার একটি নতুন চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে। বাশার বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের আগের অস্ত্রবিরতি চুক্তি ভেঙে যাবার পর নতুন ঘোষণাটি এলো। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
চুক্তিটি ভেঙে যাবার পর সরকারি বাহিনীর প্রচণ্ড গোলা বর্ষণ ও বিমান হামলায় নগরীর আতঙ্কিত বাসিন্দারা নিরাপত্তার জন্য রাস্তায় ছোটাছুটি শুরু করে। তবে সিরীয় সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্র নতুন চুক্তির বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে।
ব্রিটেন ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে এবং আগের চুক্তিটি ভেঙে গেছে।
প্রাথমিক চুক্তির আওতায় বুধবার ভোরে কয়েক হাজার বেসামরিক লোক ও বিদ্রোহী যোদ্ধাকে নিরাপদে সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরীর পূর্বাংশ ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে দেয়ার কথা ছিল।
প্রচণ্ড ঠান্ডা আবহাওয়ায় ক্ষুধার্ত বেসামরিক লোকেরা ভোরের আগেই শহর ছেড়ে যাবার জন্য নির্ধারিত স্থানে জমায়েত হয়েছিল। কিন্তু উভয়ক্ষের মধ্যে অস্ত্রবিরতি ভেঙে যাওয়ায় তাদের স্বপ্নটি দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়।
পূর্ব আলেপ্পো থেকে অ্যাক্টিভিস্ট মোহাম্মাদ আল-খাতিব বলেন, ‘বোমা বর্ষণ চলছেই। আমাদের কেউই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারছে না। সবাই অত্যন্ত ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় লুকিয়ে আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আহত ও নিহতরা রাস্তায় পড়ে আছেন। এই পরিস্থিতিতে কেউই লাশগুলো উদ্ধার করার সাহস করছে না।’
নূরেদ্দিন আল-জিনকি ও আহরার আল-শাম বিদ্রোহী গ্রুপ দুটি নিশ্চিত করেছে যে বুধবার সংঘর্ষ শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর নতুন অস্ত্রবিরতি চুক্তি হয়েছে।
নূরেদ্দিন আল-জিনকির রাজনৈতিক কর্মকর্তা ইয়াসের আল-ইউসেফ বলেন, ‘রাশিয়া ও তুরস্কের রেড ক্রিসেন্টের মধ্যস্থতায় আলেপ্পোতে একটি অস্ত্রবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চুক্তিটির আওতায় বৃহস্পতিবার ভোরে বেসামরিক লোক ও আহতদের প্রথম দলটি শহর ছাড়বে। এছাড়া বিদ্রোহীদের ব্যাপারেও একটি চুক্তি হয়েছে।'
তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
এদিকে এই চুক্তির খবরকে সিরিয়ার একটি সরকারি সূত্র অস্বীকার করেছে। সূত্রটি জানায়, ‘এ ধরনের কোনো চুক্তি হয়নি। উভয়পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতার লক্ষ্যে আলোচনা চলছে।’
বিডি প্রতিদিন/ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬/এনায়েত করিম