জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ভন ডার লেইয়েন সৌদি আরব সফরে গিয়েছিলেন। দেশটিতে বাধ্যতামূলকভাবে নারীদের হিজাব পরতে হয়। কিন্তু জার্মানমন্ত্রী সাফ হিজাব পরতে অস্বীকৃতি জানান। অনেক সৌদি নাগরিক তার এমন আচরণে ক্ষেপেছেন। এননকি জার্মান মন্ত্রীর গ্রেফতারের দাবিও তুলেছেন তারা।
লেইরেন রাজধানী রিয়াদে সৌদি প্রিন্স সালমান বিন আবদুলআজিজ আল-সৌদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি গাড় নীল রঙের একটি স্যুট পরেছিলেন। লেইরেন বলেন, ‘আমাদের দেশে কাউকে আবায়া (এক ধরনের হিজাব) পরতে হয় না। পুরুষদের মতো নিজ পোশাক নির্বাচনের অধিকার রয়েছে মেয়েদের। কোন পোশাক পরব, তা নারী-পুরুষের একান্ত নিজের বিষয়। যখন কোনো নারীকে জোর করে আবায়া পরার জন্য বলা হয়, তখন আমার খুবই বিরক্তি লাগে।’
নারীদের হিজাব পরিধানের সৌদি প্রথাটি লঙ্ঘনের পর বেশ ক্ষেপে যান দেশটির বাসিন্দারা। তারা জার্মান মন্ত্রীর কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেন সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে।
টুইটারে একজন পোস্ট করেন, ‘ভণ্ডামি ও দ্বিমুখী আচারণের কারণে তাকে গ্রেফতার করা হলো না কেন?’
অন্যেকজন লিখেছেন, ‘জার্মান মন্ত্রী ইচ্ছে করেই হিজাব পরেননি, এটা সৌদি আরবের জন্য এক ধরনের অপমান।’
বিডি-প্রতিদিন/১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬/তাফসীর-৩