ফের ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে মারণাস্ত্র। ইন্ডিয়ান নেভি ১৮টি জাহাজের একটি সুবৃহৎ নৌবহর তৈরি করছে। একই সঙ্গে আসছে ৬টি পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন সাবমেরিন, যা পানির নিচে অসীম শক্তিশালী করে তুলবে ইন্ডিয়ান নেভিকে।
৬টি এই বিশেষ ধরনের সাবমেরিন নিউক্লিয়ার মিসাইলে সজ্জিত হয়ে উঠলে তা যে বড় বড় শত্রুদেরও বুকে কাঁপুনি ধরাবে তা বলাই বাহুল্য। এই পারমাণবিক সাবমেরিনগুলো বেসরকারি খাতের কোম্পানিগুলোর সাহায্য নেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানা গেছে ।
রবিবার শীতকালীন অধিবেশনে স্ট্যান্ডিং কমিটি একটি রিপোর্টে জানিয়েছে, ১৮টি জাহাজের একটি সুবৃহৎ নৌবহর তৈরি করা হবে। পাশাপাশি ৬টি পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন সাবমেরিনও তৈরির কথা এদিনই জানানো হয়। অধিবেশনে উল্লেখ করা হয়, এই মুহূর্তে একটি পারমাণবিক ক্ষমতাশালী সাবমেরিন রয়েছে ভারতীয় নৌসেনার কাছে।
নতুন পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন সাবমেরিনের পাশাপাশি ভারতের হাতে থাকা ১৩টি সাবমেরিনেরই বয়স যে ১৭ থেকে ৩১ এর মধ্যে তাও জানানো হয়েছে। আর এর ফলেই ভারতীয় নৌসেনার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে নতুন সাবমেরিনের।
উল্লেখ্য, প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে বর্তমানে সম্পর্কে বেশ উত্তেজনা রয়েছে। সোমবার পশ্চিমবঙ্গের ‘নাভাল অফিসার ইনচার্জ’ কমোডর সুপ্রভ কুমার দে জানিয়েছিলেন, ভারতীয় জলসীমার আশপাশে চীনা রণতরীগুলির গতিবিধি ক্রমেই বাড়ছে।
ফলে এমন পরিস্থিতিতে ভারতের মতো দেশ, যার কিনা সুবিশাল উপকূল রয়েছে, তার যে নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে হবে তা বলাই বাহুল্য। যদিও ভারত বেশ কড়া ভাবে নজর রেখেছে ভারত মহাসাগরে চীনের গতিবিধি নিয়ে। আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে চীনা সেনার হাতে প্রায় ৬৫টি সাবমেরিন রয়েছে, যার মধ্যে ৮ থেকে ১০টি পারমাণবিক শক্তিচালিত। সূত্র: কলকাতা২৪
বিডি প্রতিদিন/কালাম