জাতিসংঘের নারী অধিকার সংস্থা থেকে ইরানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভে ইরান সরকার দমন-পীড়ন অব্যাহত রাখার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ভোটাভুটির পর দেশটিকে ওই সংস্থা থেকে সরিয়ে দেয় জাতিসংঘ।
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ইরান। তেহরান ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করেছে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যু হয়। এরপর দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংস বিক্ষোভ দমনে কয়েকশ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়, গ্রেফতার হয় সহস্রাধিক।
জাতিসংঘের নারী অধিকার সংস্থা থেকে বহিষ্কারের ঘটনায় ইরান বলছে, এটা চিরশত্রুদের (যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ পশ্চিমা বিশ্ব) সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং এর বৈধ কোনো ভিত্তি নেই।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, এটা যুক্তরাষ্ট্রের একপেশে কর্মকাণ্ড এবংএকতরফা রাজনৈতিক দাবি আরোপের প্রচেষ্টা। এটার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংস্থার ভোটাভুটি প্রক্রিয়ার অপব্যবহার করা হয়েছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ৫৪-সদস্যের জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিল (ECOSOC) বুধবার নারীর অধিকারের পদ্ধতিগত লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেন থেকে ইরানকে বহিষ্কারের জন্য মার্কিন-খসড়া প্রস্তাব গ্রহণের পক্ষে ভোট দেয়।
ইরানকে বহিষ্কারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র খসড়া প্রস্তাব আনার পর এর ওপর ভোটাভুটি হয় এবং তাতে ২৯-৮ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়। তবে ১৬ সদস্য এতে ভোট প্রদান থেকে বিরত ছিল। ভোটাভুটির মাধ্যমে গৃহীত এই সিদ্ধান্ত ২০২২ সাল থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত সংস্থাটির বর্তমান মেয়াদের বাকি অংশের জন্য প্রযোজ্য।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল