অবশেষে গাজা প্রস্তাব পাস হল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। কয়েক দফা বিলম্বের পর শুক্রবার প্রস্তাবটি ১৩-০ ভোটে পাস হয়। প্রস্তাবটিতে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পাঠানোর দাবি জানানো হয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের মোট ১৫ দেশের মধ্যে ১৩টি প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিলেও; যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল।
এই প্রস্তাবের মাধ্যমে মূলত গাজায় অধিকহারে ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করার বিষয়টি বলা হয়েছে।
গত ১৫ ডিসেম্বর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রথম প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। প্রস্তাবটির খসড়ায় গাজায় অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা পাঠানোর কথা বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ভেটো যাতে না দেয়, সেই নিশ্চয়তা পেতে কূটনৈতিক আলোচনা চলতে থাকে। এতে প্রস্তাবটির ভোটাভুটি কয়েক দফা পিছিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকে রাজি করাতে প্রস্তাবটি থেকে যুদ্ধবিরতি কথাটি পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়। এর বদলে শুধুমাত্র মানবিক সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়।
এক সপ্তাহ ধরে ঝুলে থাকার পর প্রস্তাবটি পাস হলেও এতে যুদ্ধ থামানোর কোনও কথা না বলায়, এর মাধ্যমে গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা বন্ধ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
এই প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতির কথা না বলায় গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা চলতেই থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসও পাসকৃত প্রস্তাবটি নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে।
শনিবার ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, “গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির যে কথা বলা হচ্ছে, তা সাধারণ মানুষের প্রয়োজন মেটাতে পর্যাপ্ত নয়।”
‘গত পাঁচদিন ধরে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন এই প্রস্তাবটির অস্তিত্ব (যুদ্ধবিরতি) খালি ও এমন দুর্বল আকারে প্রকাশ করতে কঠোর পরিশ্রম করেছে। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেছে এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ আমাদের অসহায় সাধারণ মানুষকে ইসরায়েলের আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে যে চেষ্টা চালাচ্ছে, সেটির বিরুদ্ধে গেছে।” সূত্র: আল জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/আজাদ