সীমান্তে হত্যা, চোরাচালানসহ অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি তিনটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে এয়ারক্রাফট ক্রয়, সীমান্তে কাঁটাতার স্থাপন এবং মিয়ানমার সীমান্তে লিয়াজোঁ অফিস স্থাপন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিজিবি সদর দফতরে ত্রৈমাসিক সভায় মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ প্রকল্প তিনটির কথা উল্লেখ করেন। এ ছাড়া এ বছর ভারত থেকে ২০টি প্রশিক্ষিত কুকুর আনা হবে বলেও জানান তিনি। সভায় আজিজ আহমেদ প্রকল্পগুলোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
বর্ডার লিয়াজোঁ অফিস স্থাপন:
বিজিবি মহাপরিচালক দাবি করেন, মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবি'র কোন বর্ডার লিয়াজোঁ অফিস না থাকায় সেখান থেকে প্রতিদিন বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার হয়ে আসছে। যা দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর নয়। তাই মিয়ানমার সীমান্তে বর্ডার লিয়াজোঁ অফিস স্থাপন প্রকল্প নিয়ে ইতোমধ্যেই সরকারের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
এয়ারক্রাফট প্রকল্প:
বিজিবি'র ডিজি আজিজ আহমেদ দাবি করেন, সীমান্তে এমন কিছু দুর্গম জায়গা আছে, যেখানে গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায় না। হেঁটে যেতে গেলেও দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। তাই ওইসব এলাকায় সার্বক্ষণিক হেলিকপ্টার থেকে টহল দেওয়া প্রয়োজন। এজন্য এয়ারক্রাফট প্রকল্পের ফাইলও মন্ত্রাণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। এই প্রকল্পে চারটি হেলিক্প্টার কেনার কথা বলা হয়েছে। এর দু’টি সার্বক্ষণিক টহল দেবে, আর দু’টি স্ট্যান্ডবাই থাকবে।
সীমান্তে কাঁটাতার:
সীমান্তের পথ অনেক লম্বা। তাই যখন বিজিবি সদস্যরা সেখানে টহল দেয়, তখন চোরাকারবারীরা ঝোপের আঁড়ালে লুকিয়ে থাকে। পরে আবার বের হয়ে চোরাচালানে লিপ্ত হয়। চোরাচালান বন্ধে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া থাকা প্রয়োজন। এটা থাকলে বিজিবি সদস্যরা টহল দিয়ে চলে গেলেও পেছন থেকে কেউ চোরাচালান করার চেষ্টা করলেও সেটা বোঝা যাবে।
আসছে ২০ প্রশিক্ষিত কুকুর:
ভারত থেকে ২০টি প্রশিক্ষিত কুকুর আনা হচ্ছে জানিয়ে বিজিবি'র ডিজি বলেন, ‘ফল বা পিঁয়াজের বস্তার ভেতরে অস্ত্র ও মাদক আনা হয়। কিন্তু সীমাবদ্ধতার কারণে আমাদের পক্ষে সবগুলো ট্রাক তল্লাশি করা সম্ভব হয় না। এজন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষিত কুকুর। তাই ভারত থেকে ২০টি প্রশিক্ষিত কুকুর আনার জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।’
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ জানুয়ারি, ২০১৫/ রোকেয়া।