মুদ্রা পাচারকারী চক্রের কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা অবৈধ বাণিজ্যে জড়িয়ে আছেন তাদের অনুসন্ধান করা হচ্ছে। কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। অনেকের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাদেরকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। দেশ থেকে মুদ্রা পাঁচার অনুসন্ধান করতে গিয়ে হতবাক এনবিআর। যত গভীরে যাওয়া হচ্ছে তত কুৎসিত চেহারা বের হচ্ছে।
বুধবার ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) বিভিন্ন দেশ থেকে মুদ্রা পাচারের তথ্য প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ২০১৩ সালে ৭৬ হাজার ৩৬১ কোটি ৪০ লাখ টাকা পাচার হয়েছে। পাচার হওয়া এই অর্থ আগের বছরের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেশি। মূলত আমদানি-রপ্তানির সময়ে পণ্যের প্রকৃত আমদানি-রফতানি মূল্য গোপন করার মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার করা হয়েছে।
আয়কর আইন সম্পর্কে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান আইনটি অনেকটা দুর্বোধ্য। প্রত্যক্ষ কর আইন নবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, করজাল বাড়াতে স্থানীয় পর্যায়ে গিয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা হবে। যেসব অঞ্চলে রাজস্ব আদায়ের পরিবেশ রয়েছে সেখানকার জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা হবে। করদাতারা যাতে উন্নততর সেবা পান সে জন্য দেশের সব জেলায় রাজস্ব ভবন নির্মাণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/১০ ডিসেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ