পূর্ব সুন্দরবনের বাগেরহাটের শরণখোলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ও ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বনদস্যু নয়ন বাহিনীর প্রধান ছগির ভান্ডারি (৩৫) নিহত হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৫টি দেশি বন্দুক ও ৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
বুধবার ভোর ৬টার দিকে শরণখোলা রেঞ্জের পানিরঘাট এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ আরও জানায়, নিহত বনদস্যু ছগির ভান্ডারি বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় পশ্চিম পঞ্চকরন গ্রামের আনোয়ার ভান্ডারির ছেলে। বনদস্যু ছগিরের বিরুদ্ধে শরণখোলা ও পাথরঘাটা থানায় জেলেদের মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণসহ ৭টি মামলা রয়েছে।
শরনখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম জানান, সুন্দরবনের শরনখোলা রেঞ্জের পানিরঘাট এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বনদস্যু নয়ন বাহিনীর সদস্যরা জেলেদের মুক্তিপণে দাবিতে অপহরণ ও তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে আসছিল। এমন খবরের ভিত্তিত্তে র্যাব-৬ ও বাগেরহাট ডিবি পুলিশ বুধবার ভোরে সুন্দরবনের ওই এলাকায় যৌথ অভিযানে নামে। যৌথ বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবনের শরনখোলার পানিরঘাট এলাকায় পৌঁছালে বনদস্যুরা তাদের উপর গুলি ছুঁড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে যৌথবাহিনীর সদস্যরা পাল্টা গুলি ছোঁড়ে।
তিনি আরও জানান, প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী ধরে চলা বন্দুকযুদ্ধের পর বনদস্যুরা পিছু হটে গহীন অরণ্যে পালিয়ে যায়। পরে যৌথ বাহীনির সদস্যরা ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে এক বনদস্যুর লাশ পড়ে থাকতে দেখে ও ঘটনাস্থল থেকে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জেলেরা নিহত ব্যক্তিকে বনদস্যু নয়ন বাহীনির প্রধান ছগিরের লাশ বলে সনাক্ত করে।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫/মাহবুব