একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার রায়ের খসড়া ফাঁসের ঘটনার দায়ের করা মামলায় তার স্ত্রী-পুত্র-আইনজীবীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে একই কারণে ৯মবারের মতো চার্জ শুনানি পেছাল।
বৃহস্পতিবার মামলাটির চার্জ শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির না হওয়ায় তার পক্ষে সময়ের আবেদন জানানো হয়। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম শামসুল আলম শুনানি নতুন এ দিন ধার্য করেন।
এদিন, সাকা চৌধুরীর ছেলে হুমাম কাদের চৌধুরী ও সাকার আইনজীবী ব্যারিস্টার একেএম ফখরুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আর ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের জুনিয়র আইনজীবী মেহেদী হাসান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
অপর তিন আসামি সাকার ম্যানেজার একেএম মাহবুবুল হাসান এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী (সাঁটলিপিকার) ফারুক হোসেন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নয়ন আলী কারাগারে আটক আছেন। তাদের বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়।
প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগেই সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা ‘রায়ের খসড়া কপি’ সংবাদকর্মীদের দেখান।
রায় ঘোষণার পরদিন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার একেএম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ২ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন। মামলায় ট্রাইব্যুনালের ফারুক ও নয়ন এবং ব্যারস্টার ফখরুলের জুনিয়র আইনজীবী মেহেদীকে আসামি করা হয়। এছাড়া ওই বছরেরই ৪ অক্টোবর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে ঢাকার শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেছিলেন।
এরপর ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট ডিবির পরিদর্শক মো. শাহজাহান ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব