বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ভারত তার প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমারে শান্তি দেখতে চায়। শুধু প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে নয়, প্রতিবেশি দেশগুলোর সীমান্তেও আমরা শান্তি চাই। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের শান্তির জন্য সব পক্ষকে একসঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ভারতের সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান তিনি। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি।
প্রসঙ্গত, ভারতের পররাষ্ট্র সার্ভিসে ৩০ বছরের কূটনৈতিক ক্যারিয়ার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার। মাত্র ২৭ বছরেই তিনি ভারতের সর্বকনিষ্ঠ কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়ে আশির দশকের শেষ ও নব্বইয়ের শুরুর দিকে ভূরাজনৈতিক পরিবর্তন ও রূপান্তরের সময় ভিয়েতনামের হ্যানয় ও হো চি মিন সিটি— উভয় স্থানেই দায়িত্ব পালন করেন। হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সামর্থ্যের সত্যিকারের পরীক্ষা হয় ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কবিষয়ক যুগ্ম-সচিব (বিএসএমএম বিভাগের প্রধান) থাকাকালে। এ ছাড়া বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা ও স্থলসীমা সমস্যার সমাধান, ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন এবং ২০১০ সালে ১০০ কোটি ডলার ঋণ রেখার সফল বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা ও যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল শ্রিংলার।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ নভেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ