ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার সাক্ষীকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। আদালত থেকে পুলিশ বিভাগকে সাক্ষী হাজির করাতে তাগিদ দেওয়া হলে, সাক্ষীকে ঠিকানায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে রমনা থানার উপ-পরিদর্শক ইলিয়াস হোসেন ১২ নভেম্বর একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এ বিষয়ে অদালতের পেশকার ইফতেখার হোসেন সোহাগ আজ সাংবাদিকদের জানান, আদালতে পাঠানো ওই পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাক্ষ্য দেয়ার জন্য এ মামলার ৩৩ নম্বর সাক্ষী ডা.শহিদুলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপস্থিত হলে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই এ সাক্ষীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করা সম্ভব হয়নি। আগামী বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি এ মামলার ধার্য তারিখে পুলিশের ওই প্রতিবেদন আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হবে।
মামলার নথি সুত্রে জানা গেছে, ওই সাক্ষীকে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের তৎকালিন বিচারক মো. রুহুল আমিন সমন জারি করেন। পরে সাক্ষ্য দিতে না আসায় চলতি বছরের ৫ জুন তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ মামলায় ৫৮ সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৩৮ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
এরআগে ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ। তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ঘটনার পরদিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেন। ওই হামলার পর হুমায়ুন আজাদ ২২ দিন সিএমএইচে এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে জার্মানির মিউনিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই বছরের ১২ আগস্ট তিনি মারা যান।
তার মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। মামলার আসামিরা হলেন, জেএমবির শূরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদ, নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু (পলাতক) ও সালাহউদ্দিন (পলাতক)। এদের মধ্যে জেএমবির শূরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক ও আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
বিডি প্রতিদিন/২৯ নভেম্বর ২০১৬/হিমেল