নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নৌবহরে সর্বোচ্চ সংখ্যক যুদ্ধজাহাজ, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট, হেলিকপ্টার ও বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াডস যুক্ত হয়েছে। আরও দু’টি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ক্রয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া চলতি বছরের মার্চে দু’টি সাবমেরিন সংযোজনের মাধ্যমে নৌবাহিনী এখন ত্রিমাত্রিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার খুলনাস্থ নৌ ঘাঁটি বানৌজা তিতুমীর প্যারেড গ্রাউন্ডে নৌবাহিনীর ২০১৭-বি ব্যাচের ৭৭৫ জন নবীন নাবিকের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
নৌবাহিনী প্রধান বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে নৌবাহিনীকে একটি আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পটুয়াখালীর রাবনাবাদে নৌবাহিনীর ঘাঁটি, ঢাকার খিলক্ষেতে পূর্ণাঙ্গ নৌঘাঁটি এবং চট্টগ্রামের পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে এ বাহিনী আজ একটি ভারসাম্যপূর্ণ নৌবাহিনীতে রূপান্তরিত হতে চলেছে।
এর আগে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (অপারেশন্স), খুলনা নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
নৌবাহিনীর ২০১৭-বি ব্যাচের নবীন নাবিকদের মধ্যে শেখ মোহাম্মদ রাসেল, ডিই/এমএ-২/ইউটি পেশাগত ও সকল বিষয়ে সেরা চৌকস নাবিক হিসেবে ‘নৌ প্রধান পদক’ লাভ করেন। এছাড়া মো. হোসাইন, উিই/ইউসি/ইউটি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ‘কমখুল পদক’ এবং মো. মাহমুদুল হাসান, ডিই/ইউসি/ইফটি তৃতীয় স্থান অধিকার করে ‘তিতুমীর পদক’ লাভ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৪ নভেম্বর, ২০১৭/মাহবুব