বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এবং সেখানে কর্মরত অন্যান্য স্বাস্থ্য সংস্থা কক্সবাজারে ছড়িয়ে পড়া ডিপথেরিয়া (কণ্ঠনালীর রোগ) মোকাবেলায় প্রায় পৌনে ৫ লাখ শিশুকে ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির, অস্থায়ী স্থাপনা ও আশপাশের এলাকায় এ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।
রবিবার হু ও ইউনিসেফের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচিতে ৬ থেকে ৭ বছর বয়সী দেড় লাখ শিশুকে পেন্টাভালেন্ট ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, আর ৭ থেকে ১৭ বছর বয়সী এক লাখ ৬৬ হাজার শিশুকে দেওয়া হয়েছে টেটেনাস ও ডিপথেরিয়া ভ্যাকসিন। এক মাসের বিরতি দিয়ে আরও দুই দফায় রোহিঙ্গা শিবির ও আশপাশের এলাকার সব শিশুকে এই ডিপথেরিয়া-সংক্রান্ত ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে হু’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বর্ধন জং রানা বলেন, ডিপথেরিয়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা শিবির ও আশপাশের এলাকায় শিশুদের মধ্যে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে মানুষের, বিশেষ করে শিশুদের এ ধরনের রোগ থেকে সুরক্ষায় স্বাস্থ্য খাতের সংস্থাগুলোর প্রত্যয়ের পুনরাবৃত্তি প্রকাশ পাচ্ছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ডিপথেরিয়া ঠেকাতে আগামী ছয় মাসের জন্য হু তার জরুরি তহবিল থেকে দেড় কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। সর্বোচ্চ সহায়তা দিয়ে কাজ করছে ইউনিসেফসহ অন্যান্য সংস্থাও।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা। সবমিলিয়ে এদেশে এখন আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৮ নভেম্বর থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত সেখানে ডিপথেরিয়া আক্রান্ত হয়ে ৩১ জনের মৃত্যু হয়। আক্রান্ত হয় ৩ হাজার ৯৫৪ জন। এছাড়া আরও ১০ হাজার ৫৯৪ জনের মধ্যে এ রোগের উপসর্গ দেখা গেছে বলে বিভিন্ন হিসাবে উঠে এসেছে।
বিডি প্রতিদিন/১৪ জানুয়ারি, ২০১৮/ওয়াসিফ