টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের রান্না করা খাবারে অতুলনীয় স্বাদ। ময়দানের পাশে রান্নার ঘ্রাণে মৌ-মৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে ময়দানজুড়ে। যে যাই রান্না করেন না কেন, যেমনি স্বাদ তেমনি রহমতের বরকত। সুন্নতের আদলে চারজন কিংবা পাঁচজন একত্রে বসে খাবার খান। অল্প খাবারে তৃপ্তি আসে প্রাণজুড়ে। খেতে বসে একজন অপরজনকে খাবার এগিয়ে দেন। ঠিক তখনই মহব্বত বাড়তে থাকে এক সাথী অপর সাথীর ওপর।
অনেক মুসল্লি ইবাদতের পাশাপাশি ময়দানের খাবারে অতুলনীয় স্বাদের কারণে জামাতবদ্ধ হয়ে ময়দানে আসেন। ময়দানে আসা এক মুসল্লি মোহাম্মদ আলম বলেন, ময়দানে খাবারের মধ্যে এত স্বাদ যা বলে বোঝানো যাবে না।
টঙ্গী থানা মসজিদের ঈমাম মাওলানা জালাল আনসারী বলেন, তাবলিগের সাথীরা আল্লাহর রাস্তায় দিনের কাজে যখন বের হন, তখন আল্লাহ তা’আলার রহমত বইতে থাকে। চলার পথে, দাওয়াতি কাজে, রান্নার কাজে খাবারে সব জায়গায় রহমত বর্ষিত হয়। মুসল্লিরা সাধারণ কিছু রান্না করলেও অনেক স্বাদ লাগে এবং খাবারে কোনও কমতি নেই। অল্প রান্না করে অনেক লোকজন খাচ্ছে। মনে হয় জান্নাতি খাবার খাচ্ছি। এর সব কিছুর পিছনে আল্লাহ তা’আলার দয়া ও রহমত।
গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি বাইরের খাবার তেমন একটা খাই না, তবে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে তাবলিগের সাথীদের সাথে খাবার খাই। খাবারে যেমনি স্বাদ তেমনি দিনের দাওয়াতি রহমতের সাথীদের সাথে একসাথে খাবার খেলে সোয়াবও হয়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম