এ বছরের বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ৩০ কোটি ১৪ লাখ ২২ হাজার ১৮৬ কোটি টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ, নকল, অনিবন্ধিত ও ভেজাল ওষুধ সংরক্ষণ ও বিপণনের দায়ে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৭ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার ২০৩ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আজ সোমবার ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের (ডিজিডিএ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিচারপতি মো.খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো.মাহমুদ হাসান তালুকদারের বেঞ্চে প্রতিবেদনটি তুলে ধরে ডিজিডিএ। প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এ ছাড়া জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১ হাজার ৪৩৭টি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে ৫৭ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
গত বছর ১০ মে এক অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ঢাকা শহরের ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা হয়। এ বিষয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর-প্রতিবেদন যুক্ত করে জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে এর নির্বাহী পরিচালক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন গত বছর ২৪ জুন হাই কোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন।
সে রিটের প্রথামিক শুনানির পর ২৮ জুন রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। সারাদেশে বাজার থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার, জব্দ ও ধংস করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর গত বছর ১৯ নভেম্বর আদালতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। আজ অবারও আদালতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হলো।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ