গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমান বেঁচে থাকলে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতেন, তুমি করোনা মহামারির এই দুর্যোগের সময় প্রথম এন্টিবডি কিট আবিস্কার করেছ। এ জন্য তোমাকে অভিনন্দন। এটাই সত্য যে, বিশ্বে প্রথম আমরা এন্টিবডি কিট আবিষ্কার করেছি। কিন্তু বর্তমান সরকার আমাদের প্রতিটা পদে পদে কাঁটা বিছিয়ে রেখেছেন। এ কারণে করোনার মহামারিতে আমাদের এন্টিবডি কিটকে আলোর মুখ দেখাতে পারিনি। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। আমরা এন্টিবডি কিট আবিষ্কারের পর সরকার আমাদের কন্ডিশন দিল, এ কিট আমেরিকা থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনতে হবে। এতে তিন কোটি টাকার প্রয়োজন ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হবে। এরপর এটা আর হলো না।
সোমবার দুপুরে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে শীতকালে করোনা প্রতিরোধ ও করণীয় এবং শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গণস্বাস্থ্যের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মঞ্জুর কাদির আহমেদ ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ভ্যাকসিন ইস্যুতে সরকারের উচিত, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্পৃক্ত করা। ড. ইউনূস, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে ভ্যাকসিন ফ্রি আনা। কিন্তু সরকার তা করছে না। সরকার ভ্যাকসিন ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করছে। আমরাও ইচ্ছা করলে ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারি। তাহলে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন তৈরি হতো। দেশের প্রতিটা লোক ভ্যাকসিন পেত। এখন মনে হয়, বড়লোকরাই ভ্যাকসিন পাবে। গরীবরা ভ্যাকসিন নাও পেতে পারে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, অক্সফোর্ডে পেনিসিলিন আবিষ্কৃত হয়েছিল। কিন্তু তারা কখনোই এটাকে প্যাটেন্ট করেনি।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক বন্ধুদের বলতে চাই, যতই আপনাদের বিপদ হোক, যেই নির্ভীক সাহসিকতার সাথে আপনারা কাজ করছেন, সেটাকে অব্যাহত রাখেন। সবাই মিলিতভাবে কাজ করলে দেশের দরিদ্রতা অনেক কমবে। সবাই মিলে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা