প্রায় ১৮ কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বেনজীর আহমদ ও তার স্ত্রীর নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বেনজীর আহমদের নামে মোট ১৮ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার ৩১ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। পারিবারিক ও অন্যান্য খরচ বাদে তার বৈধ উৎস থেকে অর্জিত অর্থ পাওয়া যায় ১৮ লাখ ৬৭ হাজার ৭০ টাকা।
এক্ষেত্রে তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায় ১৭ কোটি ৯৯ লাখ ৫২ হাজার ৯৬১ টাকা। এ ছাড়া বেনজীর আহমদ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১১টি ব্যাংক জমা ও উত্তোলনসহ মোট ৮৪ কোটি ৪২ লাখ ৮ হাজার ২৫৫ টাকা টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরপূর্বক আয়ের উৎস আড়াল করেছেন মর্মে অনুসন্ধানে প্রমাণ হয়েছে।
ফলে অনুসন্ধান টিমের সুপারিশে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ সনের ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) এবং ৪(৩) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান দুদক মহাপরিচালক।
তিনি আরও জানান, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাহিনা আহমদের ১ কোটি ২৩ লাখ ২১ হাজার ৫৫২ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তার বৈধ উৎস হতে অর্জিত অর্থ পাওয়া যায় ২৫ লাখ ৭৪ হাজার ১৬৭ টাকা। এক্ষেত্রে তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায় ৯৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩৮৫ টাকা। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাহিনা আহমদ তার স্বামী বেনজীর আহমদের সহায়তায় অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে অসাধু উপায়ে অর্জিত এবং জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এ সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ-দখলে রেখেছেন, তা অনুসন্ধানে প্রমাণ হয়েছে। ফলে অনুসন্ধান টিমের সুপারিশে (১) সাহিনা আহমদ ও (২) বেনজীর আহমদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই