ব্রাজিলে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ ফুটবলের আগে আর্জেন্টিনায় প্রচারের আলো ভাগ করে নিয়েছেন লিও মেসি এবং এমন একজন যিনি দীর্ঘদিন জাতীয় দলেই নেই। তিনি হচ্ছেন কার্লোস তেভেজ। সিরি এ'তে এই মুহূর্তে জুভেন্তাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা এই তেভেজ। জনপ্রিয়তার নিরিখে মেসির চেয়ে খুব বেশি পিছিয়ে নেই জুভেন্তাস এ তারকা।
এত সাফল্যের পরেও কীভাবে দলের বাইরে থাকেন তিনি ? এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ম্যারাডোনার দেশে। তেভেজ এ নিয়ে কোনো দিন কিছু বলেননি। বছরের শুরুতে বলেছিলেন, 'কোচ সাবেয়া জানেন, আমি দলে থাকব কিনা। যদিও আমি জানি না, আদৌ এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত কিনা। আমি মনে করি সাবেয়া এ সব বলতে পারবেন না।' রুমানিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ম্যাচের পর কোচ সাবেয়া বলেছিলেন, 'বর্তমান দলের স্ট্রাইকারদের ওপর আমি বেশি ভরসা করছি।' বুঝিয়ে দিয়েছেন, তেভেজের পক্ষে বিশ্বকাপ দলে থাকা যথেষ্ট কষ্টকর। কিন্তু মেসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে তেভেজের জন্য সমর্থকদের চাপ বাড়তেই পারে।
২০১১ সালে নিজেদের দেশে কোপা আমেরিকায় কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে পেনাল্টি নষ্ট করার পর আর্জেন্টিনা বাদ পড়ে যায়। তারপর দলের দায়িত্ব নেন কোচ সাবেয়া। কিন্তু তেভেজেকে আর দেখা যায়নি জাতীয় দলে।
তবু দেশটির জনগণের তেভেজকে পছন্দ করার পিছনে অন্যতম কারণ তার লড়াকু মেজাজ। বুয়েনস আইরেসের শহরতলির গরিব ঘরের এই ফুটবলার উঠে এসেছেন অপরাধের জন্য বিখ্যাত জায়গা থেকে। তাকে তুলনা করা হয় সেই সব বক্সারের সঙ্গে, যারা প্রচুর মার খেয়েও দশ গোনার আগেই উঠে দাঁড়াতে পারেন। লড়াইয়ের নেশা তার রক্তে। দলে ঢুকতে হলে তাকে আবার কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে পড়তে হবে। সেখানে রয়েছে আগুয়েরো, ইগুয়াইন, লাভেজ্জির মতো ফরোয়ার্ডরা।
উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালের পর আর্জেন্টিনা আর বিশ্বকাপ জিততে পারেনি।