বাতের যন্ত্রণা কতটা ভয়াবহ তা কেবল একজন মধ্যবয়সী ভুক্তভোগীই বলতে পারেন। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তির জন্য অনেক কিছুই করে থাকে মানুষ। তবে এতটা সহজেই মুক্তি মেলে না। অনেকে ঝাড়-ফুঁকের আশ্রয়ও নিয়ে থাকেন। তবে বাত এভাবে দূর করা সম্ভব নয়। এই ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য অবশ্যই কষ্ট স্বীকার করতে হবে। বিশেষ করে অলস হলে বাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। পরিশ্রম বাত থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম উপায়। যোগ ব্যায়াম এক্ষেত্রে সবচেয়ে উপকারী। ঈগলাসন এমনই এক কার্যকরী ব্যায়াম। আসন অবস্থায় দেহটি অনেকটা ঈগল বা গরুড় পাখির মতো দেখায় বলে এ আসনের নাম ঈগলাসন। একে গরুড়াসনও বলা হয়।
এই আসন করার জন্য শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়ান। এবার হাত দুটো কনুইয়ের কাছ থেকে ভেঙে এক হাত দিয়ে আরেক হাত পেঁচিয়ে ধরার ভঙ্গিতে ডান হাত বাঁ কনুইয়ের নিচ দিয়ে নিয়ে ডান হাতের তালু বাঁ-হাতের তালুতে নমস্কারের ভঙ্গিতে রাখুন। এখন বাঁ পা মাটিতে রেখে ডান পা উঁচু করে বাঁ পায়ের সামনের দিক দিয়ে পেঁচিয়ে নিয়ে পায়ের পাতা দিয়ে বাঁ পায়ের গোছা অাঁকড়ে ধরুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে বিশ থেকে ত্রিশ সেকেন্ড এ অবস্থায় থাকুন।
এবার হাত-পা বদল করে বাঁ হাত ডান কনুইয়ের নিচ দিয়ে নিয়ে বাঁ হাতের তালু ডান হাতের তালুতে নমস্কারের ভঙ্গিতে রাখুন এবং ডান পা মাটিতে রেখে বাঁ পা উঁচু করে ডান পায়ের সামনের দিক দিয়ে পেঁচিয়ে নিয়ে পায়ের পাতা দিয়ে ডান পায়ের গোছা অাঁকড়ে ধরুন। এভাবে হাত-পা বদল করে আসনটি তিন-চারবার অভ্যাস করুন এবং প্রয়োজনমতো শবাসনে বিশ্রাম নিন। এ আসনে এক পায়ের উপর দেহের সমস্ত ভার পড়ে বলে পায়ের খুব ভালো ব্যায়াম হয়। এতে পায়ের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং গঠনও সুন্দর হয়। বাতের ব্যথা থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি মেলে। হাতের পেশী ও স্নায়ু সুস্থ ও সক্রিয় থাকে। বাঁকা মেরুদণ্ড সোজা ও সরল হয়। হাতে-পায়ে কোনোদিন বাত বা সায়টিকা হতে পারে না।